‘মানুষ কী ভাবে নিশ্চিত হল ঈশান বিবাহ বহির্ভূত সন্তান’? বোমা ফাটালেন নুসরত

‘মানুষ কী ভাবে নিশ্চিত হল ঈশান বিবাহ বহির্ভূত সন্তান’? বোমা ফাটালেন নুসরত

কলকাতা: জন্মদিনে নিজের মুখে কবুল করেছেন সন্তানের কথা৷ জানিয়েছেন ইশান তাঁরই ছেলে৷ এতদিন যে স্বীকৃতি শুধুমাত্র সরকারি নথিতে সীমাবদ্ধ ছিল, সেই স্বীকৃতি এবার নিজের মুখে দিলেন যশ দাশগুপ্ত৷ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খোলামেলা আলোচনায় মাতলেন ‘যশরত’৷ শেয়ার করলেন নিজেদের প্রেম, সন্তান ও সংসারের গল্প৷ কিন্তু সবের মাঝে যে প্রশ্নটা বারবার উঠে এসেছে, সেটা হল তাঁদের সন্তান কি সত্যিই বিবাহ বহির্ভূত? 

আরও পড়ুন- অর্থার রোডে সাধারণ কয়েদি তিনি, কী ভাবে দিন কাটছে শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের?

নুসরত

কিছুদিন আগে বিশ্বকর্মা পুজোতে নুসরতের মাথায় দেখা গিয়েছিল সিঁদুর৷ তাঁর সেই ছবি দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল, তবে কি চুপিসারে বিয়েটা সেরে ফেলেছে যশ ও নুসরত? যদিও সেই সময় নিজেদের বিয়ে নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করেননি ‘যশরত’ জুটি৷ তবে কানাঘুষো, গত বছরেই নাকি চুপিসারে গাঁটছড়া বেঁধে ফেলেছেন এই লাভ বার্ডস৷ যদিও ঈশানের জন্ম নিয়ে এখনও নানা প্রশ্ন উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছে৷ কারণ বিয়ের আগে সন্তানের জন্ম আজও আমাদের সমাজে গ্রহণীয় নয়৷ এ নিয়ে সমাজের নানা ছুঁৎমার্গ রয়েছে৷  

নুসরত
 

যশ ও নুসরতকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতীয় সমাজের এই প্রেক্ষাপটে কী ভাবে সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন দু’জনে? এই প্রশ্ন শুনে নুসরত যে জবাব দিয়েছেন, তা নিশ্চিত ভাবেই সকলকে হতবাক করবে৷ ঈশানের মাম্মি বোমা ফাটিয়ে বলেন, ‘মানুষ কি ভাবে নিশ্চিত হল যে এটা আমাদের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের সন্তান? আমরা আমাদের ব্যক্তিগত বিষয় কথা বলতে চাই না৷ কিন্তু তার মানে এটা ঠিক নয় যে, লোকে যেটা বলছে সেটাই ঠিক’। তবে কি নুসরত ঘুরিয়ে যশের সঙ্গে বিয়ের কথাটা স্বীকার করে নিলেন?

নুসরত

নুসরতের সাফ জবাব, ‘‘সব কিছু প্লাকার্ডে লিখে ফলাও করে বলবার প্রয়োজন আছে বলে আমি আর যশ দু’জনেই বিশ্বাস করি না। বরং এই  ধোঁয়াশাটা বজায় থাকুক৷’’ তাঁধের মতে, বিপদের সময় একে অপরের হাতটা শক্তি করে ধরে থাকার নামই ভালোবাসা৷ এটাই তাঁদের বিশ্বাস৷ নুসরত বলেন, ‘‘আইনি স্বীকৃতি থাকলেই কোনও সম্পর্ক পূর্ণতা পায় না৷ বিয়েতে যে প্রতিজ্ঞা আমরা নিয়ে থাকি, সেগুলো বাস্তবে পূরণ করতে না পারলে সেই সম্পর্ক বৃথা৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *