কলকাতা: পুজো উদ্যোক্তা ছাড়া এ বছর মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অষ্টমীর দিন সুরুচি সংঘে উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরত জাহান, তাঁর স্বামী নিখিল জৈন, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী মিথিলা। আর সেই কারণেই তাঁদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।
অষ্টমীর দিন সকালে সুরুচি সংঘের মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন এই চার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। প্যান্ডেলে ঢুকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে ঢাক বাজান নিখিল ও সৃজিৎ। নুসরত ঢাকের তালে মেতে ওঠেন। প্রতিমার সামনে অঞ্জলিও দেন সস্ত্রীক সৃজিত এবং নুসরত। এই ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিস জারি হয়েছে। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নুসরাত নিজে সাংসদ। বাকিরাও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। হাইকোর্টের নির্দেশের পর এমন কাজ করা তাঁদের অনুচিত। নেটিজেনদের একাংশের মত, বিখ্যাত ব্যক্তি হয়ে তাঁরাই যদি এমন কাজ করেন তা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নিন্দনীয়। এই চারজনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানোর পর সুরুচি সংঘের তরফে জানানো হয়েছে যে নুসরত ক্লাবের সদস্য। তবে নুসরত বা সৃজিত এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি।
প্রসঙ্গত, আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মণ্ডপ নো-এন্ট্রি থাকবে৷ তবে, নো-এন্ট্রি জোনে পুজোর আচার-অনুষ্ঠান চলতে পারে৷ পুরোহিত, ঢাকি ও পুজোর উপাচারে যুক্ত ব্যক্তিরা অংশ নিতে পারেন৷ তবে, তার জন্য রয়েছে কিছু শর্ত৷ বড় মণ্ডপে সর্বাধিক ৬০ জনের প্রবেশাধিকার থাকবে৷ তবে একসঙ্গে ৪৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন না৷ ৩০০ বর্গমিটারের কম মণ্ডপে ১৫ জনের বেশি প্রবেশে করা যাবে না৷ একসঙ্গে ১০ জন ঢুকতে পারবেন না৷ প্রতিদিন তালিকা বদল করা যাবে৷ স্থানীয় বাসিন্দা ও পুজো উদ্যোক্তারা এই তালিকায় থাকতে পারবেন৷ করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে দর্শকশূন্য পুজো করার পক্ষেও আরও একবার নির্দেশ দেয় আদালত৷ কিন্তু আদালতের নির্দেশ অষ্টমীর সুরুচি সংঘে মানা হয়নি বলে অভিযোগ।