সুশান্তের নামে ছিল না সিমকার্ড, খরচ হয়েছে বিপুল টাকা! পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় নতুন তথ্য এল পুলিশে হাতে। অভিনেতার ব্যবহৃত সিমকার্ড নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে সুশান্ত যে সমস্ত নম্বর ব্যবহার করতেন তা একটিও তার নামে ছিল না। রবিবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে বিহার পুলিশ। জানানো হয়েছে যে সাম্প্রতিক কয়েকটি সিমকার্ডের মধ্যে একটি ছিল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিদ্ধার্থের। সুশান্ত এবং সিদ্ধার্থ একসঙ্গে বান্দ্রার ফ্ল্যাটে থাকতেন। সুশান্তের মৃত্যুর দিনও সিদ্ধার্থ ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন বলে খবর।

 

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় নতুন তথ্য এল পুলিশে হাতে। অভিনেতার ব্যবহৃত সিমকার্ড নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে সুশান্ত যে সমস্ত নম্বর ব্যবহার করতেন তা একটিও তার নামে ছিল না। রবিবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে বিহার পুলিশ। জানানো হয়েছে যে সাম্প্রতিক কয়েকটি সিমকার্ডের মধ্যে একটি ছিল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিদ্ধার্থের। সুশান্ত এবং সিদ্ধার্থ একসঙ্গে বান্দ্রার ফ্ল্যাটে থাকতেন। সুশান্তের মৃত্যুর দিনও সিদ্ধার্থ ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন বলে খবর।

এদিকে বিহার পুলিশের তরফে আরও একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ বড় অংকের টাকা তোলা হয়েছে। সেই টাকার বেশিরভাগটাই খরচ করা হয়েছে পুজো বাবদ। সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৫ হাজার টাকা এবং ৬০ হাজার টাকা তোলার খতিয়ান পাওয়া গিয়েছে। কিছুদিন আগে সুশান্তের বাবা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ এনেছিলেন। এই তথ্য প্রকাশের পর অভিযোগ আরও জোরদার হল বলে মনে করা হচ্ছে।

এর মধ্যে আবার পুজো সংক্রান্ত কারণে খরচের কথা সামনে আসতেই রিয়ার ব্ল্যাক ম্যাজিক করার অভিযোগের উপরেও অনেকে আঙুল তুলতে শুরু করেছেন। অনেকেই মনে করছেন ব্ল্যাক ম্যাজিক করার জন্যই সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা খরচ করেছিলেন রিয়া। কিছুদিন আগে সুশান্ত দিদি মিতু সিং পুলিশকে রিয়া ব্ল্যাক ম্যাজিক করতেন বলে অভিযোগ করেন। একই কথা বলেন সুশান্তের পারিবারিক বন্ধু স্মিতা পারেখ। মিতা জানিয়েছেন সুশান্ত নাকি তাঁকে বারবার বলতেন 'ওরা আমাকে ছেড়ে দেবে না'। এই 'ওরা' কারা, তা কিন্তু তাঁকে জানাননি সুশান্ত।

এদিকে সুশান্ত আত্মহত্যার মামলা এখনও পর্যন্ত ৭ জনের বয়ান রেকর্ড করতে পেরেছে বিহার পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডে। এছাড়া সুশান্তের বন্ধু মহেশ শেট্টি সহ অনেকের বয়ান রেকর্ড করা হয়। কিন্তু রিয়া এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ। বিহার পুলিশ সন্ধান চালাচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে রিয়া সত্যি সত্যি যদি নির্দোষ হয়ে থাকেন, যদি সত্যি তিনি ন্যায়বিচার চেয়ে থাকেন, তাহলে কেন বিহার পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না? বিহার পুলিশের ডিজি গুপ্তেশ্বর পান্ডে জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত রিয়াকে তাঁরা খুঁজে পাননি। তবে চেষ্টা চলছে। এদিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন সুশান্তের মামলায় সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে তাঁর কোন আপত্তি নেই। বরং সুশান্ত বাবা যদি চান তাহলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে সিবিআই তদন্তের জন্য সুপারিশ করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন নীতীশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 4 =