কলকাতা: শহরের স্থান কমলেও বাড়ছে বিনোদন ব্যবসা৷ কলকাতায় নানা বিনোদন ক্ষেত্রে জায়গা ভাড়া নিয়ে মালিকদের রোজগার প্রচুর৷ অথচ সেই কর দেওয়ার আগ্রহ নেই৷ অধিকাংশ পুরসভার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে চলছে বহু কোটি টাকা কর ফাঁকি চক্র৷ শহরের বহু হোটেল, নাইট ক্লাব, রেস্তোরাঁ, অনুষ্ঠান বাড়িতে কর ফাঁকি দিচ্ছে৷ যার জেরে প্রতিবছর পুরসভার ক্ষতি হচ্ছে ১০ কোটি টাকা৷ কমছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ৷ এমনই জানিয়েছেন মেয়র অতীন ঘোষ৷
বিষয়টি নিয়ে পুরসভাকে কয়েকবার চিঠি দিয়েছে কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল৷ বকেয়া বিনোদন করের টাকা আদায় করা হচ্ছে কি না, কেন সেই কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে৷ গোটা বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পুরসভার বিনোদন বিভাগ৷ ডেপুটি মেয়র ওই দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত৷
আগে এই নিয়ে তেমন কোন উদ্যোগ দেখা না গেলেও এবার ওই বকেয়া টাকা তুলতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চাইছেন ডেপুটি মেয়র৷ সম্প্রতি সিএজির রিপোর্টে প্রকাশ আসার পর বিভাগীয় বিনোদন কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি৷ ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার থেকে হোটেল, নাইট ক্লাব, রেস্তোঁরা, অনুষ্ঠান বাড়ি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিনোদন কর জমা দিতে বলা হবে৷ তবেই সেখানে অনুষ্ঠানের ছাড়পত্র পুরসভা৷
তবে এতদিন কর আদায়ের প্রবণতা না থাকায় হঠাৎ করে কেন বকেয়া আদায়ে ব্যবসায়ীদের ওপর চাপানো হচ্ছে? পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন করদাতারা৷ তারা বলছেন, এতদিন তারা জানতেন না বিনোদন কর দিতে হয় পুরসভায়৷ এখন যদি পুরসভা এসে নোটিশ হারায় তাহলে কি করে সেই বকেয়া মিটাবেন তাঁরা৷