মুম্বই: দীপিকা পাড়ুকোনের ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল মাদক। মঙ্গলবার করিশ্মার বাড়িতে তল্লাশি চালায় নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেখান থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে। এরপরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের সমন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ করিশ্মা।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর জানা যায় ড্রাগ নিতেন সুশান্ত। তাঁর সঙ্গে তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী, রিয়ার ভাই শৌভিক সহ অনেকেই মাদক নিতেন বলে জানা যায়। তখনই মামলা হাতে নেয় নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বেশ কিছুদিন পরে একের পর এক বলিউড ব্যক্তিত্বদের নাম উঠতে থাকে। সারা আলি খান, রকুল প্রীত সিং ও শ্রদ্ধা কাপুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনসিবি। মামলায় ওঠে দীপিকা পাড়ুকোনের নাম। তাঁর একটি মাদক সংক্রান্ত চ্যাটও উদ্ধার হয়। এই নিয়ে দীপিকার ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনসিবি কর্তারা। করিশ্মা জানান, মাদক সংক্রান্ত ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন দীপিকা নিজে৷ ওই গ্রুপে তিন জন সদস্য ছিলেন৷ জয়া সাহা, কৃষ্ণা প্রকাশ আর দীপিকা পাডুকোন৷ ওই গ্রুপে মাদক সংক্রান্ত চ্যাটগুলি ছিল ২০১৭ সালের৷
২০১৭ সালে করিশ্মার সঙ্গে দীপিকার যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দীপিকাকে ‘হাশ’ (মাদক) চাইতে দেখা গিয়েছে৷ এর উত্তরে করিশ্মা জানান, সেটি তাঁর বাড়িতে আছে৷ তবে তিনি এই মুহূর্তে বান্দ্রায় রয়েছেন৷ দীপিকা চাইলে অমিতকে তা এনে দিতে বলতে পারেন৷ তাতে সম্মতি জানান দীপিকা৷ এর পরেই প্রকাশ্যে আসে KWAN ট্যালেন্টের আরও এক কর্মী জয়া সাহার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট৷ জয়া আবার শ্রদ্ধা কাপুর, মধু মান্তেনা সহ আরও কয়েকজনকে সিবিডি ওয়েল এনে দিতেন বলে অভিযোগ৷ দীপিকা পরিচালিত ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা কেওয়ানও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এর আগে ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহা এবং সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার ধুভ চিতগোপেকারকেও এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। বিশেষত জয়া সাহাকে মামলার ‘কিংপিন’ হিসাবে অভিহিত করা হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ তার জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপরের চ্যাটের কথাও জিজ্ঞাসা করে।