মুম্বই: নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো তরফে শনিবারের জেরার পর দীপিকা, শ্রদ্ধা, সারাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হল। বিস্তারিত তদন্তের জন্য এই তিন হাইপ্রোফাইল বলিউডি নায়িকাদের পাশাপাশি অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিং, দীপিকার ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনসিবি। এর আগেও ফ্যাশন ডিজাইনার সিমন খাম্বাটা ও কাউন ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মচারী তথা সুশান্তের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া শাহ’র মোবাইলও নিজেদের জিম্মায় নিয়েছিল এনসিবি। এবার এনসিবির তরফে তিন হাইপ্রোফাইল নায়িকাদের ফোন বাজেয়াপ্ত করার কথা প্রকাশ্যে আনল খোদ এনসিবি।
তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ডিজিটাল তথ্য জানতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওই ফোনগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করে ডিলিট হয়ে যাওয়া তথ্য ফিরিয়ে আনা হবে। বলিউডে রূপালি পর্দার পিছনে লুকিয়ে থাকা মাদকচক্রের তল্লাশি চালাতে ২ টি আলাদা এফআইআর রেজিস্ট্রার করে তদন্ত চালাচ্ছে এনসিবি। যার মধ্যে একটি প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত এবং অন্যটি বলিউডের বিস্তারিত ড্রাগ নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত।
সাংবাদিকদের লুকিয়ে এনসিবির শমনে সাড়া দিয়ে দীপিকা গতকাল, অর্থাৎ শনিবার কোলাবার মুম্বই পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউজে পাড়ুকোন উপস্থিত হন। সেখানে দফায় দফায় তাঁকে এনসিবির পাঁচ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল জেরা করেন। সাড়ে ৫ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে সেই জেরা পর্ব। দীপিকাকে জেরা করেন খোদ এনসিবিরি ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মালহোত্রা। দীপিকা ও তাঁর ম্যানেজার করিশ্মা’কে মুখোমুখি বসিয়ে “মাল হ্যায় ক্যা” চ্যাট নিয়ে জেরা করেন কেপিএস মালহোত্রা। উল্লেখ্য, ম্যানেজার করিশ্মা’কে একটি চ্যাটে দীপিকা জিজ্ঞেস করেছিলেন, “মাল আছে কি না।” এই “মাল” কি আসলে ড্রাগ’কেই চিহ্নিত করছে, এটাই জানতে চাইছে এনসিবি।
একইসঙ্গে শনিবার এনসিবির ব্যালাড এসস্টেটের অফিসে অভিনেত্রী সারা আলি খান ও শ্রদ্ধা কাপুর’কে জেরা করে এনসিবির অন্য একটি দল। শ্রদ্ধা’কে ৬ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়। অন্যদিকে, সারা কিছুটা দেরি করে আসায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা জেরা করার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় এনসিবি তরফে। কিন্তু সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই দুজন প্রথম সারির নায়িকাই তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা অস্বীকার করেন। একইসঙ্গে তাঁরা জানান, সুশান্ত সিং রাজপুত নিজেই মাদক নিতেন। ঘটনার মোড় কোন দিকে ঘোরে এখন সেটাই দেখার।