মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার তদন্তে মুম্বই পুলিশের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেছে৷ এবার আরও একটি বড়সড় গাফিলতি প্রকাশ্যে এল। তা হল, এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পরে প্রয়াত অভিনেতার ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছিল। টাইমস নাও- জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশের এই দীর্ঘসূত্রতার কারণেই ফরেনসিক দল ফোনটি নিতে অস্বীকার করেছিল তবে পরীক্ষার জন্য পরে তা নেওয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, ১৪ জুন অভিনেতার মৃত্যুর প্রায় ২৪ দিন পর ফোনটি ফরেনসিক দলের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছিল। নিয়ম অনুসারে, তদন্তে স্বচ্ছতার জন্যই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছে ইলেকট্রনিক প্রমাণ জমা দিতে হয়। এত দেরিতে এই প্রমাণ হস্তান্তর নিয়ে মুম্বাই পুলিশের তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে কেন্দ্র ইতিমধ্যে বিহারে দায়ের করা এফআইআর সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) কাছে স্থানান্তরিত করা পর এবার সময় পুরো তদন্তপ্রক্রিয়াটি কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানান হয়েছে।
এদিকে, যদিও অভিনেতার এক তুতো বোন সুশান্তের ন্যায় বিচারের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছে, অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরাও এই প্রচারণায় সমর্থন জানিয়েছেন যেখানে এই মামলার সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। অবশ্য সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে মুম্বাই পুলিশকেই সামনে রাখতে চাইছে মহারাষ্ট্র সরকার।
এদিকে এই তদন্তে মুম্বই পুলিশকে প্রাধান্য দিয়ে বৃহস্পতিবার শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত, এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার দাবি করেন, পেশাদারিত্বের সঙ্গেই এই তদন্ত পরিচালনা করছে মুম্বাই পুলিশ। শিবসেনা নেতার প্রশ্ন, সিবিআই আলাদা করে এই বিষয়ে আর কি তদন্ত করবে? মুম্বাই পুলিশের সমালোচনাকারীদের তিরস্কার করে তিনি বলেন, যে তাঁরা শুধু সিবিআইকেই নয়, এমনকি প্রয়োজনে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান পুলিশবাহিনী কেজিবি এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকেও তদন্তের জন্য ডাকতে পারেন। যদিও একদিন পরেই নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে রাউত নিজেও সিবিআই তদন্তের কথাই বলেছেন।