ক্রমশ বাড়ছে ওজন, পাল্টাচ্ছে মুখের আদল, কোন জটিল রোগে আক্রান্ত মিস ইউনিভার্স হরনাজ?

ক্রমশ বাড়ছে ওজন, পাল্টাচ্ছে মুখের আদল, কোন জটিল রোগে আক্রান্ত মিস ইউনিভার্স হরনাজ?

নয়াদিল্লি:  এ যেন অচেনা হরনাজ৷ ২১ বছর পর মিস ইউনিভার্সের খেতাবজয়ী হরনাজ সান্ধুকে এখন চেনা দায়৷ এই এক বছরেই ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরীর চেহারায় আমূল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে৷ ক্রমাগত ওজন বেড়ে চলেছে তাঁর৷ জানা গিয়েছে, এক জটিল রোগে আক্রান্ত ‘মিস ইউনিভার্স’৷ একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজেই সে কথা জানালেন হরনাজ৷ 

আরও পড়ুন- সাত নয়, চার পাকে ঘুরেই রণবীরের গলায় মালা দিলেন আলিয়া, কারণটা জানেন?

সম্প্রতি ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে ব়্যাম্পে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল হরনাজকে৷ তাঁর ভদ্র ও বিনয়ী স্বভাব বহু মানুষের মন জিতে নেয়৷ কিন্তু, মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে যে তন্বীকে দেখেছিল বিশ্ববাসী, সেই রূপ খুঁজতে গিয়ে হোঁচট খেলেন অনেকেই৷ তাঁর চেহারায় যে বিস্তর বদল এসেছে৷ 

২১ বছর পর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় হরনাজের হাত ধরেই ফের জয়জয়কার হয়েছিল ভারতের৷ সুস্মিতা সেনা, লারা দত্তর পর তৃতীয় ভারতীয় হিসাবে ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরীর শিরোপা ওঠে হরনাজ সান্ধুর মাথায়৷ সেদিন পঞ্জাবের সুন্দরীকে নিয়ে দেখা গিয়েছিল আপামর দেশবাসীর বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস৷ তবে চেহারায় বদল আসতে সেই হরনাজকেই শুনতে হচ্ছে নানা বিদ্রুপ৷ তবে সেই সবের জবাব দিয়েছেন হরনাজ৷ 

ল্যাকমে ফ্যাফন ইউকে হরনাজ ছিলেন শোস্টপার৷ সেখানে যথেষ্ট প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি৷ কিন্তু তাঁর মুখ থেকে উধাও জো-লাইন৷ মুখ ও শরীর ফুলে গিয়েছে৷ পাল্টে গিয়েছে মুখের আদল৷ কিন্তু কেন এই পরিবর্তন? কেন বাড়ছে ওজন? জবাব দিয়েছেন হরনাজ নিজেই৷ মিস ইউনিভার্স জানান, তিনি সিলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত৷ এটি এক ধরণের জিনগত অটোইমিউন কন্ডিশন৷ যাতে পাচনতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এই রোগে মানুষের ইমিউন সিস্টেমই তার শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে। গ্লুটেন জাতীয় খাবার এটিকে আরও সক্রিয় করে তোলে। এই অসুখের প্রভাবে অপুষ্টিজনিত সমস্যা, স্নায়ুর সমস্যা, হাড়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে ওজন কমেও যেতে পারে, আবার অত্যধিক বেড়েও যেতে পারে। দীর্ঘ সময়ের জন্য হজমের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

হরনাজ জানান, এই অসুখের জন্য অনেক খাবারই খেতে পারেন না তিনি৷ আটা, ময়দা খাওয়াও বারণ৷ মিস ইউনিভার্সের কথায়, প্রথমে রোগা হওয়ার জন্য কথা শুনতে হত, এখন মোটা হওয়ার জন্য কটাক্ষ শুনতে হয়৷ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে হরনাজ লিখেছিলেন, ‘আপনার শরীরের আকারের চেয়ে আপনার মনের আকৃতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ রোগা বা মোটা হওয়া নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন হরনাজ৷ তাঁর সাফ কথা, রীর নিয়ে আমি বরাবরই সন্তুষ্ট। কে কী বললো বা না বললো তা চিন্তা করার সময় কই?’