মেধাবী-সুন্দরী! সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম ১০০-র তালিকায় মিস ইন্ডিয়ার প্রতিযোগী

বিউটি উইথ ব্রেন একেই বলে। যে পরীক্ষা সহজে কেউ পাশ করতে পারে না, সেই ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করলেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ফাইনালিস্ট ঐশ্বর্য শিওরান। আইপিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। তাই ২০১৯ সালের ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে। ঐশ্বর্য পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে ৯৩ র‌্যাঙ্ক করেছে। সম্প্রতি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে upsc.gov.in ওয়েবসাইটে। ফলাফল প্রকাশের পর এই তথ্য সামনে এসেছে।

 

নয়াদিল্লি: বিউটি উইথ ব্রেন একেই বলে। যে পরীক্ষা সহজে কেউ পাশ করতে পারে না, সেই ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করলেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ফাইনালিস্ট ঐশ্বর্য শিওরান। আইপিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। তাই ২০১৯ সালের ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে। ঐশ্বর্য পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে ৯৩ র‌্যাঙ্ক করেছে। সম্প্রতি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে upsc.gov.in ওয়েবসাইটে। ফলাফল প্রকাশের পর এই তথ্য সামনে এসেছে।

ঐশ্বর্য তাঁর ফলাফল জানার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি জানান, “ঐশ্বর্য রাই মিস ইন্ডিয়া হওয়ার পর আমার মা আমার নাম ঐশ্বর্য রেখেছিলেন। আমার মাও চেয়েছিলেন আমিও মিস ইন্ডিয়া হই। অবশেষে আমি মিস ইন্ডিয়ার ২১ জন ফাইনালিস্টদের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছিলাম।” ঐশ্বর্য শিওরান আরও বলেন, যে তিনি সর্বদা সিভিল সার্ভেন্ট হতে চেয়েছিলেন। এটিই ছিল তাঁর স্বপ্ন। তাই তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য নিজের মডেলিং ক্যারিয়ার থেকে বিরতি নেন। মন দিয়ে পড়াশোনা করেন তারপর। এখন তিনি সফল।ঐশ্বর্যর যাত্রা শুরু হয়েছিল দিল্লি টাইমস ফ্রেশ ফেস থেকে। এটি একটি বিউটি কনটেস্ট। অনেকেই এতে অংশ নিয়েছিল। তার পরেই ঐশ্বর্যকে মিস ইন্ডিয়ায় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বলা হয়। যা তাঁকে মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে।

ঐশ্বর্য পড়াশুনায় সর্বদাই ভাল ছিলেন। তিনি পরীক্ষায় সাফল হওয়ার জন্য কোনও কোচিং ক্লাস নেননি। নিজেকে কঠোর সময়সূচীতে বেঁধে পড়াশোনা করতেন তিনি। ঐশ্বর্য বলেন, “পরীক্ষার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য আমি আমার ফোন সুইচ অফ রাখতাম। সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও দূরে থাকতাম। যার ফল পেয়েছি। তবে হঠাৎ করেই যে আমি পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করেছিলাম, তা নয়। আমি বরাবরই স্টুডিয়াস ছিলাম।”

ঐশ্বর্য শিওরান স্কুলে র‌্যাঙ্ক করতেন। তিনি বিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলেন। পরে তিনি শ্রী রাম কলেজ অফ কমার্সে ভর্তি হন। তাঁর বাবা কর্নেল অজয় ​​কুমার, করিমনগরের এনসিসি তেলঙ্গানা ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার। ঐশ্বর্য বলেছেন, পরিবারের রীতি থেকেই আমি ভেবেছিলাম আমার নাগরিক সেবার চেষ্টা করা উচিত। সেনাবাহিনীতে এখন মহিলাদের সুযোগ রয়েছে। তবে এখনও তা খুব সীমাবদ্ধ। কিন্তু সিভিল সার্ভিসে এর কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। তাই তিনি এই ক্ষেত্রটি বেছে নেন। এবার চাকরিতে যোগ দিয়ে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান ঐশ্বর্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − 2 =