কলকাতা: এ বছর পুজোটা বেশ দেরি করেই পড়েছে। অক্টোবরের শেষের দিকে মা দুর্গা আসবেন মর্তে। কিন্তু মহালয়ার বেশি দেরি নেই। আগামী মাসের মাঝামাঝি বেজে উঠবে আগমনী বার্তা। আর মহালায়া মানেই রেডিওতে মহিষাসুরমর্দিনী শোনার পাশাপাশি টেলিভিশনের পর্দায় মহিষাসুরমর্দিনী গল্প দেখা। এখনও পর্যন্ত হেমা মালিনী থেকে শুরু করে শ্রাবন্তী, কোয়েলের মতো অনেক অভিনেত্রীদের টেলিভিশন দুর্গা রূপে দেখা গিয়েছে। এবার এ বছর একটি জনপ্রিয় চ্যানেলে দেখা যাবে মিমি চক্রবর্তীকে।
এ বছর একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলে মহিষাসুরমর্দিনী পরিচালনা করছেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। তাঁর পরিচালনায় দুর্গা হিসেবে দেখা যাবে সাংসদ এবং অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। তবে এই গল্পের পাশাপাশি অন্য আরও একটি গল্পকেও তুলে ধরবেন কমলেশ্বর। সেটি হল রামায়ণের গল্প। মূলত অকালবোধন থেকেই মহিষাসুর বধের গল্পে ঢুকবেন পরিচালক। এখনও পর্যন্ত তেমনটাই শোনা গিয়েছে। মহিষাসুর বধ এবং রামের অকাল বোধনের গল্প সমান্তরালভাব চলবে। এখানে দুর্গা হিসেবে যেমন দেখা যাবে মিমি চক্রবর্তীকে, তেমনি সীতার ভূমিকায় দেখা যাবে মধুমিতা সরকারকে। টেলিভিশনের দৌলতে মধুমিতা সরকার এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। এছাড়া মধুমিতা একটি সিনেমা করেছেন। 'আজ কাল পরশু' নামের সেই ছবিতে অর্জুন চক্রবর্তীর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অকাল বোধনের গল্পে রামের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা জিতু কামালকে। তবে পরিচালকের সারপ্রাইজ এলিমেন্ট কিন্তু রাবণ।
রাবণের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বেছে নিয়েছিলেন রাজেশ শর্মাকে। এমন একটি চরিত্রে হাতছাড়া করেননি রাজেশ। তিনি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে রাবণের চরিত্রে তাঁকে নাকি বেশ ভালই মানিয়েছে। আর অভিনয়ের কথা তো রাজেশ শর্মা ক্ষেত্রে তোলাই বৃথা। এই প্রথম কোনও পৌরাণিক চরিত্র অভিনয় করতে দেখা যাবে তাঁকে। কিন্তু মহালয়ার শুটিং কেমন করে হল? করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে সমস্ত সর্তকতা বিধি পালন করে শুটিং হওয়া খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। তবে শুটিং ফ্লোর থেকে খবর, সমস্ত শুটিংই নাকি হয়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনে। এমনকী রাম-রাবণের যুদ্ধের দৃশ্যও সামাজিক গুরুত্ব নেই নাকি শুট করা হয়েছে। তবে তা ঠিক কীভাবে করা হয়েছে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে মহালয়া পর্যন্ত।