কলকাতা: দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যানসারকে সঙ্গে নিয়ে দৌড় চালাচ্ছিলেন। অবশেষে সেই দৌড় থামাতে বাধ্য হলেন ‘মহীনের অন্যতম ঘোড়া’। প্রয়াত কিংবদন্তি বাংলা ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’-র ‘বাপিদা’ ওরফে তাপস দাস। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর সাহায্যে বাংলা গানের শিল্পীরা এগিয়ে এসেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাঁকে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন। শেষে তাঁর চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেয় রাজ্য সরকার। তবে শেষমেষ জীবন যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করতে হল তাঁকে।
বাপি দাসের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ফসিলস-এর অন্যতম সদস্য রূপম ইসলাম। তাঁর বক্তব্য ছিল, বাপি দা কোনও রাজনৈতিক দলের সাহায্য নেবেন না বলেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের সাহায্য তিনি নেবেন কারণ সেটি কোনও দল নয়। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারই তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করছিল এবং এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তবে এই সময়ের মধ্যেও গান থেকে দূরে থাকতে পারেননি তিনি। নাকে নল গুঁজে স্টেজে উঠে গান গাইতেও দেখা গিয়েছিল মহীনের এই আদি ঘোড়াকে। তবে এই মুহূর্ত থেকে তিনি চিরনিদ্রায় গেলেন।
‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ ১৯৭৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম বাংলা স্বাধীন রক ব্যান্ড। এটি ভারতের প্রথম রক ব্যান্ড যা সেই সময়ে কলকাতায় যাত্রা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে এই ব্যান্ড ভারতীয় রক যুগের সূচনা যেমন করতে পেরেছিল ঠিক তেমনই সর্বাধিক প্রভাবশালী হিসেবেও পরিচিতি পায়। গৌতম চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জন ঘোষাল, এব্রাহাম মজুমদার, তাপস দাস ও তপেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, এই সাত জন সঙ্গীতশিল্পীই ছিলেন মহীনের ওই ‘ঘোড়ারা’।