কলকাতা: লকডাউন এরপর আনলকের পথে চলেছে দেশ। ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। এর মধ্যেই টালিগঞ্জের শুরু হয়ে গেছে শুটিং। সিনেমার শুটিং শুরু না হলেও ওয়েব সিরিজ এবং সিরিয়ালের শুটিং চলছে। শুটিং সেটে ৩৫ জনের থাকার অনুমতি দিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে শুটিং। কিন্তু তা সত্বেও অনেক কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির শিল্পী থেকে শুরু করে টেকনিশিয়ানরা। এই নিয়ে আজ একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং টলিউডের অনেক শিল্পীরা। ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় রাজ চক্রবর্তী সোহম সহ অনেকে।
এদিন বৈঠকে আর্টিস্ট ফোরামের সভাপতি শংকর চক্রবর্তী বলেন, সমস্ত জায়গাতে যেখানে শুটিং শুরু হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি অনেক মেনেই চলছে কাজ। ক্রমাগত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে ফ্লোর এবং পোশাক। অভিযোগ যে একেবারেই আসছে না তা নয়। বিশেষ করে মেকআপ রুমে স্বাস্থ্যবিধি নাম্বার অভিযোগ উঠেছে। অনেক জায়গায় সেগুলো খতিয়ে দেখছেন তারা। তবে এ দিনের বৈঠকে আরও একটি বড়সড় অভিযোগ ওঠে যা হলো অভিনেতাদের পারিশ্রমিক সংক্রান্ত আর্টিস্ট ফোরামের তরফেই জানানো হয়েছে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সবার কাছেই কোনো কাজ ছিল না। অথচ শুটিং শুরু হওয়ার পর চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ও প্রযোজনা সংস্থা গুলি কম পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে অভিনেতা এবং শিল্পীদের কাজ করার কথা বলছে। যা একেবারেই অনুচিত বলে জানিয়েছেন আর্টিস্ট ফোরাম।
তাদের বক্তব্য চ্যানেলের প্রযোজকরা বলছে লকডাউনের মধ্যে প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল তারা। একই কথা কিন্তু শিল্পীদের ক্ষেত্রেও খাটে। এছাড়া এই পরিস্থিতিতে সব শিল্পীকে নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে তা নয়। খুব কম সংখ্যক শিল্পী কাজ করছেন ফ্লোরে। তাহলে তারা কেন পারিশ্রমিক নিয়ে নেগোসিয়েশন করবেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদি কেউ নিজের থেকেই কাজটি করতে তাহলে বাধা দেওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। কিন্তু প্রযোজক বা চ্যানেলে তরফ থেকে কেমনে প্রশ্নগুলো তোলা হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ফোরাম।
এছাড়া এদিন বৈঠকে আমফান বিধ্বস্ত সিনেমা হলগুলোকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান যে সমস্ত সিনেমা হলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোকে অর্থ সাহায্য করা হবে। এদিন আউটডোর শুটিং প্রসঙ্গে বলেন মুখ্যমন্ত্রী জানান নিরিবিলি বা নিরালা জায়গা থেকে শুটিং করলে কোন অসুবিধা নেই। এদিন ৩৫ জন শুটিং সেটে উপস্থিত থাকার বদলে ৪০ জন উপস্থিত থাকতে পারবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া টেকনিশিয়ানদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট তৈরীর কথা বলেন। ইন্ডাস্ট্রির উন্নতির জন্য অন্য রাজ্য থেকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোকজন তাদের দেশে শুটিং করে তার জন্য প্রমোশনাল কোন উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।