কলকাতা: পুজো মানেই নতুন জামা পরে ঠাকুর দেখা। কিন্তু এ বছরের পুজো ব্যতিক্রম। এ বছর করোনা সংক্রমণ এড়াতে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু তাই বলে পুজোর উপহার পাঠানো থামেনি। তাই বাংলাদেশের মেয়ে আর পশ্চিমবঙ্গের বধূ মিথিলাকে দুর্গাপুজোর উপহার পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে মিথিলা এই খবর জানিয়েছেন। অবশ্য বাদ যাননি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও। তাঁকেও উপহার পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
লকডাউনের সময় ঢাকায় ছিলেন মিথিলা। আর সৃজিত ছিলেন কলকাতায়। এরপর যখন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিমান চালু হল, কলকাতায় আসেন মিথিলা। মেয়েকে নিয়েই শ্বশুরবাড়ি চলে আসেন তিনি। এখন সৃজিত, মিথিলা ও তাঁদের মেয়ে একসঙ্গেই থাকছেন। সৃজিত ও মিথিলার বিয়ে হয় ডিসেম্বরে। বিয়ের পর এই প্রথম দুর্গাপুজো মিথিলার। তাই এই পুজো তাঁর কাছ স্পেশাল তো বটেই। আর সেই স্পেশাল পুজোকে আরও স্পেশাল করতে তাঁকে উপহার পাঠালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মিথিলার জন্য তিনি পাঠিয়েছেন নীল শাড়ি। আর সৃজিতকে মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছেন লাল পাঞ্জাবি। উপহার পেয়ে ইনস্টাগ্রামে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মিথিলা।
সৃজিত এখন কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এ বছর পুজোয় মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘ফেলুদা ফেরত’ ওয়েব সিরিজের। কিন্তু ওয়েব প্ল্যাটফর্ম মত বদল করে। প্রযুক্তিগত কারণে অ্যাপটি নতুন করে সাজানো হবে। তাই সেপ্টেম্বরের শেষে মুক্তি পেল না ‘ফেলুদা ফেরত’। কবে পাবে, তাও জানা নেই। আড্ডা টাইমেসর তরফে জানানো হয়েছে মুক্তির দিন জানানো হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অ্যাপ সংস্কার কেন? সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যাতে দর্শকদের দেখার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয়, তাই এই সিদ্ধান্ত। সৃজিত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর জানিয়ে বলেছেন, সেপ্চেম্বরেরই ট্রেলার সহ ১২টি এপিসোড মুক্তির জন্য তৈরি ছিল। কিন্তু আড্ডা টাইমস অ্যাপ সাজানোর জন্য তা পিছিয়ে গিয়েছে। এবার যদি কারওর ফেলুদা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকে তা যেন আড্ডা টাইমসেই জিজ্ঞাসা করে নেওয়া হয়। এমনকী প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে আড্ডা টাইমসের অফিসে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন সৃজিত।
করোনা যে সৌহার্দ্য বিনিময় বন্ধ করতে পারেনি, তা প্রতি পদক্ষেপে প্রমাণিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ দুর্গাপুজো উপভোগ করতে তৎপর। পুজোয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপহার পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো শেখ হাসিনার উপহারে রয়েছে শাড়ি, ফুল ও মিষ্টি। তার মধ্যে রয়েছে চারটি শাড়ি ও ১০ কেজি মিষ্টি। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জ থেকে এসেছে এই উপহার। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে উপহার পাঠানো হয়েছে। কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনারের দফতরে ইতিমধ্যেই সেই উপহার পৌঁছে গিয়েছে।
Thank you @MamataOfficial Didi for the beautiful pujo gift ❤️🙏🏼@srijitspeaketh pic.twitter.com/kHIU82uhZc
— Rafiath Rashid Mithila (@rafiath_rashid) October 17, 2020