মুম্বই: টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ মাধবী লতা। তিনি জানিয়েছিলেন যে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এমন একটি জায়গা যেখানে ড্রাগ ছাড়া কোনও পার্টি হয় না। তিনি বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তেলঙ্গানা সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত ১৪ ই জুন মুম্বইয়ের তাঁর বান্দ্রার ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করেন। এরপর তাঁর বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া ও আর্থিক তছরূপ সহ একাধিক মামলা দায়ের করেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। যত দিন যাচ্ছে তত নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। সম্প্রতি সুশান্তের মৃত্যু মামলার সঙ্গে ড্রাগের যোগসূত্রের কথা উঠে এসেছে। ফলে তদন্ত শুরু করেছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। NCB মামলাটি তদন্ত শুরু করার পর রিয়া কর্মকর্তাদের বলেন যে সুশান্তের মাদক সেবন করার অভ্যাস ছিল। এদিকে রিয়ার সঙ্গে মাচক চক্রের যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। রিয়ার বিরুদ্ধে NCB ফৌজদারি মামলা করেছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে রিয়া চক্রবর্তী অ্যাসোসিয়েট স্যামুয়েল মিরান্ডা তাঁকে ও তাঁর ভাই সৌভিককে ড্রাগ এনে দিতেন। স্যামুয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আবদুল বাসিত নামে এক ব্যক্তির। তাকে গ্রেপ্তার করেছে NCB। এছাড়া জাইদ ভিলাত্রা নামে আরও এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন আবার বলিউডের সঙ্গে মাদকচক্রের যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: 'যেন ডাইনি শিকার চলছে', রিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে মিডিয়াকে একহাত নিলেন শিবানী
অন্যদিকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলায় ক্রমাগত নিজের মতামত প্রকাশ করছেন কঙ্গনা রানাউত। সম্প্রতি তিনি বলেছেন বলিউডে ড্রাগ নেওয়া সাধারণ ব্যাপার। অনেকেই ড্রাগ নেন এবং প্রকাশ্যেই নেন। সম্প্রতি কঙ্গনা বলেছেন বলিউডের কয়েকজন প্রথম সারির নায়ক-নায়িকাকে টেস্ট করালে দেখা যাবে তারা মাদকাসক্ত। এই প্রসঙ্গে তিনি রণবীর কাপুর, রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, ভিকি কৌশলের নাম নিয়েছেন। বলেছেন, তাঁদের রক্ত নিয়ে ড্রাগ টেস্ট করালেই দেখা যাবে তাঁরা প্রত্যেকেই কোকেন অ্যাডিক্টেড। সম্ভবত, মাধবী লতাও কঙ্গনার পদক্ষেপ অনুসরণ করছেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, এটি ভাল যে NCB সুশান্তের মামলা নিয়ে কাজ করছে। খবরে দাবি করা হয়েছে, অনেক বলিউড তারকাই মাদক সেবন করেন। তিনি আরও যোগ করেছেন যে তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ড্রাগের ফলে অনেক ক্ষতি হয়েছিল। তারকারা দরিদ্রদের সাহায্য করেন কিনা তা তিনি জানেন না। তবে তারা ড্রাগ কেনার জন্য প্রচুর ব্যয় করেন। মাধবী লতা বলেছেন যে আমাদের দেশ যেগুলি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সেগুলি ব্যবহার করা ভাল। এতে আমাদের দেশের আয় বাড়বে। মাদক সেবন করে কেন জীবনের ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে?