চার বছরে পড়ল ‘মাদারি’, প্রয়াত ইরফানের অভিনয়ে এখনও বুঁদ দর্শককুল

২৯ এপ্রিল কোলন ক্যানসারে মারা গেছেন ইরফান খান। তারপর এক এক করে বলিউড হারিয়েছে ঋষি কাপুর, সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো প্রতিভাশালী অভিনেতাদের।

মুম্বই: ২২ জুলাই মুক্তির চার বছর পূরণ করল ২০১৬ সালের ‘মাদারি’। এই ছবি দর্শকের মনে আজও গেঁথে রয়েছে। এই সাফল্যের পিছনে কী এমন রহস্য লুকিয়ে আছে, আসুন দেখে নিই।

২০২০ বলিউডের জন্য একটি অন্ধকার সময় হিসাবে ধরলে ভুল হবে না। শুরুতে করোনার জন্য বন্ধ হয়েছিল সিনেমা হল। অনেক ছবি যেমন হলে মুক্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে তেমনি অনেক ছবিকে সিনেমা হল থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে লকডাউনের জন্য। বলিউড এক এক করে হারিয়েছে বিশিষ্ট অভিনেতাদের। ২৯ এপ্রিল কোলন ক্যানসারে মারা গেছেন ইরফান খান। তারপর এক এক করে বলিউড হারিয়েছে ঋষি কাপুর, সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো প্রতিভাশালী অভিনেতাদের। ইরফানে’র মৃত্যুতে বলিউড তথা গোটা দেশ জুড়ে নেমেছিল গভীর শোকের ছায়া। দর্শকমনে তাঁর অভিনয়ের প্রতিভা ছাপ রেখে গেছে আজও। প্রতিটি চরিত্রে তাঁর সাবলীল অভিনয় এবং চরিত্রকে নিজের মধ্যে ধারণ করার আশ্চর্য ক্ষমতাকে কোনওদিনই ভোলা যাবে না।

আরও পড়ুন: অনেক হয়েছে, বলিউড থেকে ইস্তফা দিচ্ছি! অনুভব-বিদ্রোহে কাঁপছে সিনেপাড়া

‘মাদারি’ ছবির মূল চরিত্রে ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান। এ ছবিতে তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল জিমি শেরগিল, বিশেষ বনসল প্রমুখ অভিনেতাদের। ইরফানের অন্যতম প্রশংসিত ছবিগুলির মধ্যে একটি হল ‘মাদারি’। ইরফানের অভিনয়ের অসামান্য দক্ষতা এ ছবিতে আরও একবার ফুটে উঠেছিল। এখানে ইরফানকে একজন অপহরণকারীর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: শরীরে ধারণ করতে চাই করোনা টিকা, ICMR-কে আর্জি অভিনেত্রী চূর্ণির

‘মাদারি’ ছবির বিষয়বস্তু হল— এক ব্যক্তি তার সন্তানকে হত্যা করা এবং তার গোটা পরিবার ধ্বংস করার পিছনে কিছু রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্রকে অপহরণ করে। ‘মাদারি’র প্লট কেবলমাত্র আকর্ষণীয়ই নয়, তা এতটাই মানবিক যে দর্শকমনে প্রভাব বিস্তার করে। ‘মাদারি’র সাফল্যের পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে ইরফানে’র অনবদ্য ও সাবলীল অভিনয়, চরিত্র তৈরি করার অতুলনীয় দক্ষতাকে চিহ্নিত করা যায়।

এছাড়াও ছবির অন্যান্য চরিত্রদের মধ্যে সিবিআই পুলিশকর্তার চরিত্রে জিমি শেরগিল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র হিসাবে বিশেষ তাদের নিজ নিজ চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন। তাছাড়া এ ছবির সহজ সরল ডায়ালগ, যা দর্শককে ছবির গল্পের সঙ্গে মিশে যেতে এবং চরিত্রগুলির সঙ্গে একাত্মবোধ গড়তে সাহায্য করেছিল। ছবিটি ভারতের বিভিন্ন শহর যেমন দেরাদুন, দিল্লি, রাজস্থান ইত্যাদি ঘুরে শুট করা হয়েছিল যা। এই ছবির সাফল্যের পিছনে সবশেষে এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী যে দিকটি চোখে পড়ে তা হল, ছেলের সঙ্গে বাবার গভীর বন্ধন এবং ভালোবাসা, অপহৃত বাচ্চাটির মধ্যে নিজের ছেলেকে খুঁজে পাওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × five =