ওয়াশিংটন: একবিংশ শতাব্দীর বর্তমান যুগে যখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের খাতিরে পুরো বিশ্ব ‘আমরা দুই, আমাদের দুই’য়ের নীতি অনুসরণ করতে বলছে, তখন মধ্য পাশ্চাত্যের ক্রিস্টিনা ওজটার্ক এই শ্লোগানকে উড়িয়ে উল্টোপথে হাঁটতে উদ্যত হয়েছেন। তার মতে, শিশুদের সঠিক উপায়ে বড় করায় এবং তাদের একটি ভাল জীবন দিতে পারায় এক অদ্ভুত আনন্দ লুকিয়ে আছে। আর সেই কারণেই জর্জিয়া শহরের এই মহিলা মনে করেন যে, পরিবার বৃদ্ধি করতে কোনও সমস্যা নেই।
ক্রিস্টিনা ওজ্টার্ক শিশুদের খুব পছন্দ করে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে মা হয়ে ইতিমধ্যে ২৩ বছর বয়সে ১১ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এই ইউরোপীয় মহিলা, যার বড় মেয়ের বয়স ৬ বছর। এই প্রসঙ্গে ক্রিস্টিনা ওজ্টার্ক বলেছেন, “আমি আমার পরিবারের বৃদ্ধি আটকাতে চাই না। আমি আরও বেশি বেশি শিশু চাই কারণ আমি বাচ্চাদের খুব পছন্দ করি এবং তাদের লালনপালন করার কাজকে উপভোগ করি৷”
ক্রিস্টিনার স্বামী গালিপ ওজ্টার্কের বয়স ৫৬ বছর এবং তিনি একজন বড় ব্যবসায়ী। ক্রিস্টিনা যখন রাশিয়ার মস্কোতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন স্বামী গালিপ তুরস্কে একটি বড় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জর্জিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বাতুমিতে বসবাসকারী এই পরিবারটি একটি মিডিয়া হাউসকে জানিয়েছে যে তারা ১০৫ টি শিশু চায়। তবে এর মধ্যে ক্রিস্টিনা জানিয়েছেন যে, তিনি তার বড় মেয়েকে জন্ম দিয়েছেন এবং বাকি শিশুরা সারোগেসি নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে। এই প্রসঙ্গে ক্রিস্টিনা বলেছেন, “বাচ্চাদের জন্ম দেওয়া এবং তাদের আরও লালনপালন করা সম্পুর্নভাবে আলাদা বিষয় । আমি ছেলেমেয়েদের বড় করে আনন্দিত। তাহলে এই শিশুরা আমাদের জৈবিক শিশু এবং সারোগেসির মাধ্যমে আমরা তাদের জন্ম দিয়েছি৷”
উল্লেখ্য, জর্জিয়া শহরে সেরোগ্যাসি কোনো অবৈধ নয়। সেখানে এই প্রক্রিয়াটির জন্য প্রায় ৮ হাজার ইউরো খরচ হয়, যা ভারতীয় মুদ্রায় আট লাখ টাকারও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে যদি ক্রিস্টিনা ১০০ সন্তানের পরিবার চায়, তবে তাকে কেবল শিশুদের জন্মের জন্য তাকে ৮০ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে। এরপরে এই শিশুদের লালনপালন ও শিক্ষার জন্য রয়েছে আরো খরচ। তবে ক্রিস্টিনা এটির জন্য প্রস্তুত। এবং তার স্বামী যথারীতি তার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন, এমনটাই জানা গেছে ইউরোপীয় এই পরিবার সূত্রে।