কলকাতা: বাংলা ধারাবাহিক মানেই শাশুড়ি ও বউয়ের কলহ, মাথামুন্ডুহীন গল্প আর ভিত্তিহীন চিত্রনাট্য। বেশিরভাগ বাংলা সিরিয়ালের ক্ষেত্রেই এই সব কথা প্রযোজ্য। আর এই ভিত্তিহীন চিত্রনাট্যেএর জন্য ফের একবার শিরোনামে উঠে এল জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'কৃষ্ণকলি'। সোশ্যাল মিডিয়া এই ধারাবাহিক নিয়ে ট্রোল ও মিমের বন্যা বইছে।
ব্যাপারটা তাহলে খুলে বলা যাক। সম্প্রতি জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'কৃষ্ণকলি' ৭০৪ নম্বর এপিসোডের একটি দৃশ্যের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই দৃশ্যে দেখা গিয়েছে ধারাবাহিকের হিরো নিখিলের দাদা অরুণকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোনও এক কারণে তিনি কোমায় আচ্ছন্ন। আর কোমায় আচ্ছন্ন অরুণের জ্ঞান ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। সেখানেই মেশিনের সঙ্গে চিকিৎসকরা ব্যবহার করেছেন একজোড়া বাথরুম স্ক্রাবার। মরণাপন্ন বা কোমায় আচ্ছন্ন রোগীকে বাঁচাতে ডাক্তাররা অনেক সময় শক দেওয়ার মেশিন ব্যবহার করেন। এই কথা কারওর কাছে অজানা নয়। এক্ষেত্রে সেই একই ঘটনা দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। ধারাবাহিকের এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে ডাক্তাররা বলছেন 'আমি জানি না উনি বাঁচবেন কিনা। তবে আমরা সবরকম চেষ্টা করব।' আর এরপরই থেরাপি দেওয়ার চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। তখনই দেখা যায় শক দেওয়ার জন্য মেশিনের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে বাথরুম স্ক্রাবার।
দৃশ্যটি প্রকাশের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের ছড়াছড়ি। নেটিজেনদের কাছে হাসির খোরাক হয়ে গিয়েছে 'কৃষ্ণকলি' ধারাবাহিকের এই দৃশ্যটি। অনেকেই এ নিয়ে যেমন হাসাহাসি করেছেন তেমনই অনেকে নিন্দায় ভরিয়ে দিয়েছে ধারাবাহিককে। আর এরপরই ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন প্রযোজক সুশান্ত দাস। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, অনেক সময় প্রয়োজনীয় কোনও প্রপস হাতের কাছে না পাওয়া গেলে তার বিকল্প হিসেবে সেই রকমই অন্য কোনও জিনিস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। কিন্তু ব্যাপারটি এতদূর গড়িয়ে যাবে তা বোঝা যায়নি আগে থেকে। বর্তমানে হাই কোয়ালিটির ক্যামেরার সামনে সবই ঝকঝকে। তাই এমনভাবে স্ক্রাবার দুটি ফুটে উঠেছে যে সহজেই তা নজরে পড়েছে দর্শকদের। আর সেটি স্পষ্ট হওয়ায় বুঝতে অসুবিধা হয়নি। তারপর থেকেই ট্রোলের বন্যা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।