ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমবিএ করেও গায়িকার জীবন বাছেন সোনা, জড়িয়েছেন একাধিক বিতর্কে

মুম্বই: ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমবিএ পাশ করেও চাকরির ধার ঘেঁষেননি গায়িকা সোনা মালহোত্রা। মোটা বেতন ছেড়ে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন স্বপ্নের জগতে। কখনও স্পষ্ট কথা বলতে পিছপা হয়নি। আর সেই কারণেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।

মুম্বই: ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমবিএ পাশ করেও চাকরির ধার ঘেঁষেননি গায়িকা সোনা মালহোত্রা। মোটা বেতন ছেড়ে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন স্বপ্নের জগতে। কখনও স্পষ্ট কথা বলতে পিছপা হয়নি। আর সেই কারণেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।

১৯৭৬ সালের ১৭ জুন অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তমে জন্ম সোনা মালহোত্রার। বাবা দিলীপ মহাপাত্র পেশায় ভারতীয় নৌবাহিনীর আধিকারিক। মা নয়নতারা গৃহবধূ। বোন প্রতীচিও গানের জগতের মানুষ। সোনারা তিন বোন বাবার কাজের সূত্রেই দেশ-বিদেশে ঘুরেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই গান ছিল সোনার প্রিয় বিষয়। তাই ভুবনেশ্বরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পরে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও গানকে বিরতি দেননি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পর পুণের সিমবায়োসিস থেকে এমবিএ করেন। পড়াশোনার পর ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু চাকরি বেশিদিন করেননি তিনি। কারণ গান তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকত। তাই পেশা হিসেবে গানকেই বেছে নেন সোনা।

সোনা প্রথম বিজ্ঞাপনে জিঙ্গল গান গাওয়ার সুযোগ পান। এরপর তাঁর রিদম অ্যান্ড ব্লুজ, ফ্ল্যামেঙ্কো, হিন্দুস্তানি, বাউল এবং রোমানি জনপ্রিয় হয়। ২০০৬ সালে প্রথম সিনেমায় গান গেয়েছিলেন সোনা। সেটি ছিল ‘ফ্যামিলি’ ছবির ‘লোরি’। এর পর ‘আগে সে রাইট’, ‘আই হেট লভ স্টোরিজ’, ‘ফুকরে’, ‘বজাতে রহো’, ‘পুরানি জিন্স’, ‘খুবসুরত’, ‘হান্টার’-এর মতো ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি। তবে ‘ডেলি বেলি’র ‘বেরাদরি রাজা’ গানটি তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। ‘তলাশ’ ছবির ‘জিয়া লগে না’ গানটিও গেয়েছিলেন তিনি। সেটিও শ্রোতারা খুব পছন্দ করেছিল। সোনা বিভিন্ন ছবিতে গান গাওয়া ছাড়াও নিজের ব্যান্ডও খোলেন।

সঙ্গীত পরিচালক রাম সম্পতের সঙ্গে সোনা মহাপাত্রের পরিচয় গ্ল্যামার দুনিয়ায় আসার আগে থেকেই। তাঁদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন পরিচালক রাম মাধবানি। ৩ বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেন তাঁরা। একসঙ্গে অনেক কাজ করেছেন তাঁরা। তাঁদের একটি স্টুডিও-ও রয়েছে। তবে জীবন যত এগিয়েছে বিতর্কও এগিয়েছে। ২০১৬ সালে ‘সুলতান’ ছবির শুটিংয়ের সময় সলমন বলেছিলেন ছবির জন্য তিনি এত পরিশ্রম করেছেন যে তাঁর নিজেকে ধর্ষিতার মতো বিধ্বস্ত মনে হয়েছে। এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন সোনা। সেই নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল বিস্তর। এছাড়া ২০১৮ সালে অনু মালিকের বিরুদ্ধে #MeToo অভিযোগ যখন উঠেছিল, তখন তাঁর বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছিলেন সোনা। গোটা ঘটনায় অনু মালিককে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর বিচারকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অনু মালিককে পরে আবার শোয়ে পুনর্বহাল করা হয়। তারও প্রতিবাদ করেছিলেন গায়িকা।

এমনকী সুশান্ত সিংহ রাজপুত মৃত্যুর পর বলিউডের স্বজনপোষণ নিয়েও বলেন তিনি। তখন পূজা ভাট বলেছিলেন, মহেশ ভাট স্বজনপোষণ করেননি কখনও। সোনা তখন বলেছিলেন, বলিউডে শোষণ করা হয় এবং সবাই মুখ বুজে শোষিত হন। সোনু নিগমের ‘মিউজিক মাফিয়া’ অভিযোগও সমর্থন করেন সোনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − three =