এক সময় আহার জুটত রুটি-আচার, সেই কঙ্গনা এখন ২টি বাংলোর মালকিন

মুম্বই: বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত হিমাচল প্রদেশের মান্ডির ছোট্ট শহর সুরজপুরের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে কোনও ফিল্মি সংযোগ ছিল না। একটি রক্ষণশীল পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছিলেন কঙ্গনা। কঙ্গনার পরিবার চেয়েছিল বড় হয়ে কঙ্গনা চিকিৎসক হোন। কিন্তু তিনি তা চাননি।

মুম্বই: বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত হিমাচল প্রদেশের মান্ডির ছোট্ট শহর সুরজপুরের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে কোনও ফিল্মি সংযোগ ছিল না। একটি রক্ষণশীল পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছিলেন কঙ্গনা। কঙ্গনার পরিবার চেয়েছিল বড় হয়ে কঙ্গনা চিকিৎসক হোন। কিন্তু তিনি তা চাননি।

তবে তিনি জীবন থেকে অন্য কিছু চেয়েছিলেন। হিমাচল থেকে চণ্ডীগড়, দিল্লি থেকে মুম্বই, তিনি প্রতিটি স্তরে লড়াই করে এগিয়েছেন। মুম্বইতে এমন একটা সময় ছিল যখন তিনি এত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন যে দিনে মাত্র একবার খাবার জুটত তাঁর। তাও রুটি এবং আচার। অনেক পরে, 'গ্যাংস্টার' ছবির অফার পান তিনি। তার পরপরই আসে 'ফ্যাশন' ছবিটি। তিনটি জাতীয় পুরষ্কার পান কঙ্গনা। এরপর কঙ্গনার ফিল্ম দুনিয়ার উড়ান উড়তে থাকে। 'কুইন' এবং 'তনু ওয়েডস মনু'র মতো ছবি পান তিনি। বাকিটা ইতিহাস।

বলিউডে কঙ্গনার জীবন শুরু হয়েছিল ভারসোভার এক কামরার একটি ঘরে। আর বর্তমানে মুম্বাইয়ের খারে কঙ্গনার একটি ৫ BHK ফ্ল্যাট রয়েছে। 'ফ্যাশন' ছবির সাফল্যের পরে, এই অভিনেত্রী সান্টা ক্রুজ হাইরাইজে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমার হাতে টাকা অর্থ ছিল এবং তখন ডিজাইনারের কাছে আমার একটাই নির্দেশ ছিল যে তিনি যেন তখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল জিনিস ব্যবহার করেন।” পরে, কঙ্গনা ২০১৩ সালে খারে তাঁর নতুন বাংলোটি কেনেন। সেটি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করেন তিনি। কারণ বাড়িটি খুব সুন্দর হলেও এটির কোনও মৌলিকত্ব বা কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। তাই কঙ্গনা তাঁর বাড়ির ভোলবদলের জন্য ইন্টিরিয়ার ডিজাইনার রিচা বহেলকে দায়িত্ব দেন। যিনি পরিচালক বিকাশ বহেলের স্ত্রী।

কঙ্গনার বাড়ির প্রতিটি কক্ষের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন রয়েছে। এই পাঁচ বেডরুমের ঘরে তিন বছর ধরে কঙ্গনা বসবাস করছেন। এবং স্বাভাবিকভাবেই, বাড়ির তাঁর প্রিয় জায়গা তাঁর শয়নকক্ষ। তাঁর ফ্ল্যাটের থিমটি হিমাচল প্রদেশে কঙ্গনার বাড়ির কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে। তাঁর মানালির বাংলোটি ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি। এতে আটটি বেডরুম, স্টেপ-আউট ব্যালকনি, একটি সংরক্ষণাগার, জিমনেসিয়াম, একটি যোগা কক্ষ এবং একটি ফায়ারপ্লেস রয়েছে। ইউরোপিয় ধাঁচে তৈরি হয়েছে এই ম্যানশন। কিছুদিন আগে পর্যন্ত কঙ্গনা তার পুরো পরিবারের সঙ্গে তাঁর মানালির বাড়িতে ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × one =