মুম্বই: বলিউডের সেলিব্রিটি মানেই হাজার বিতর্ক। তার মধ্যে বেশিরভাগই সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে। বলিউডের বেশিরভাগ সেলিব্রিটিই একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আয়েশা টাকিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকের সঙ্গে জড়িয়েছে তাঁর নাম। কিন্তু সেই সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত গড়ায়নি। ছোটবেলার বন্ধু ফরহান আজমিকে বিয়ে করেন আয়েশা।
আয়েশা পড়াশোনা করেন মুম্বইয়ের সেন্ট অ্যান্থনিজ গার্লস হাই স্কুলে। ছোট থেকেই তিনি বিনোদনের জগতে টুকাক কাজ করতেন। শাহিদ কপুরের সঙ্গে ‘কমপ্ল্যান গার্ল’ হিসেবে অভিনয় করেছিলেন আয়েশা। তখন থেকেই তাঁকে চেনে দর্শক। ফাল্গুনী পাঠকের মিউজিক ভিডিয়ো ‘মেরি চুনর উড় উড় যায়ে’ যখন মুক্তি পেল তখন আয়েশার বয়স ১৫ বছর। এই মিউজিক ভিডিও তাঁকে অনেকটাই জনপ্রিয় করে। নায়িকা হিসেবে আয়েশার ডেবিউ ‘টারজান দ্য ওয়ান্ডার কার’ ছবিতে। তাঁর জীবনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবি হল নাগেশ কুকুনুড়ের ‘ডোর’। অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়ে নিয়েছিলেন আয়েশা।
এ ছাড়া ‘সোচা না থা’, ‘সালাম-এ-ইশক’, ‘ওয়ান্টেড’, ‘দিল মাঙ্গে মোর’-সহ এনেক ছবিতে অভিনয় করেন আয়েশা। কিন্তু বলিউডে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারেননি আয়েশা। ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান। আয়েশা যখন যুবতী, তখন তাঁর সঙ্গে নাম মনীষা কৈরালার ভাই সিদ্ধার্থের। এ ছাড়া অস্মিত পটেল এবং প্রভুদেবার সঙ্গেও আয়েশার সম্পর্ক ছিল বলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু অভিনেত্রী কখনও সেকথা স্বীকার করেননি। ২০০৫ সালে সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আজমির ছেলে ফরহান আজমির সঙ্গে আয়েশার সম্পর্কের কথা শোনা যায়। ৩ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০০৮ সালে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ২৬/১১-র মুম্বইয়ের জঙ্গি হামলার কারণে তাঁদের বিয়ে পিছিয়ে যায়। ২০০৯ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তাঁরা।
আয়েশা যখন বিয়ে করেন তখন তাঁর বয়স ২৩ বছর। তবে অল্প বয়সে বিয়ে করে নেওয়ায় কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন তিনি। রাজনীতিক পরিবারের ছেলে হলেও ফরহান আজমি পেশায় ব্যবসায়ী। বিয়ের পর থেকে তাঁর এবং আয়েশার দাম্পত্য জীবন নিয়ে কোনও নেতিবাচক খবর প্রকাশ্যে আসেনি।