‘হু ইজ কেকে?’ গায়কের মৃত্যুর পরেই নেটিজেনদের রোষানলে রূপঙ্কর

‘হু ইজ কেকে?’ গায়কের মৃত্যুর পরেই নেটিজেনদের রোষানলে রূপঙ্কর

কলকাতা:  সুরের জগতে এক বিষাদময় নিস্তব্ধতা৷ কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে-র প্রয়াণে ইতি পড়ল একটা যুগের৷ কলকাতায় নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের পরেই ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক৷ হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ৷ শিল্পীর মৃত্যুর পরেই ভাইরাল রূপঙ্করের একটি পোস্ট৷ নেটিজেনদের চরম রোষানলে বাংলার এই সঙ্গীত শিল্পী৷ 

আরও পড়ুন- কৃষ্ণকুমার কুনাথ থেকে কেকে, আজীবনের জন্য থেকে গেল ‘প্রেমের গলা’

একদিন আগেই ফেসবুকে কেকে-র সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন রূপঙ্কর বাগচি। তাচ্ছিল্যের সুরে বলেছিলেন, “হু ইজ কেকে? আপনারা আমাদের নিয়ে তো এত মাতামাতি করেন না! আমরা সকলেই ওঁর থেকে অনেক ভাল গাই”। তাঁর এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই অকালে চলে গেলেন কেকে। মাত্র ৫৪-তেই ফুরিয়ে যায় একটি তাজা প্রাণ৷ এর পরেই কেকে-র অনুরাগী থেকে শুরু করে প্রায় সকল নেটাগরিকদের রোষের মুখে পড়েছেন রূপঙ্কর৷ তাঁর ওপর বেজায় ক্ষিপ্ত তাঁরা। তোপ দেগে তাঁরা বলেন, কোন মুখে রূপঙ্কর এ কথা বললেন! ওঁর জানা উচিত কেকে আসলে কে?  ওঁর সঙ্গে নিজের তুলনা করতে গিয়ে মানুষটাকে অভিশাপ দিলেন?  তাঁর অনুরাগীরা বলছেন, “নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়েই লোকটা শেষ নিঃশ্বাস অবধি গান গেয়ে গেলেন।’’ 

রূপঙ্করকে একহাত নিয়ে তাঁর অনুরাগীরা বলছেন, কেকে-র সম্পর্কে জানতে হলে গুগল করে নিতে পারতেন রূপঙ্কর৷ এহেন মতামত না দিলেই পারতেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, নিজে কাজ পাচ্ছেন না বলেই এই ধরনের মন্তব্য করেছেন৷ ওঁকে গোটা ভারতে কেউই চেনে না। নব্বইয়ের দশকের আবেগের উপর আঘাত হেনেছেন রূপঙ্কর৷ তবে অনেকেই আক্রমণের পথে হাঁটতে চাননি৷ তাঁদের কথায়, এই আক্রমণ যেন আরেকটা মৃত্যুর কারণ না হয়ে দাঁড়ায়৷ 

যদিও রূপঙ্করের বক্তব্য, তিনি কেকে-কে নিয়ে কিছু বলেননি৷ তিনি বাংলা গান, বাংলার শিল্পীদের কথা বলচে চেয়েছেন৷ তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে৷