মুম্বই: ধর্ষণের হুমকি পেলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ওড়িশার একজন আইনজীবী অভিনেত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন। এনিয়ে কঙ্গনা এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পরই তিনি টুইটারে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তারপর অভিনেত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হল।
ওই আইনজীবীর নাম মেহন্দি রোজা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনাকে ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই তিনি পোস্টটি ডিলিট করে দেন। তাঁর দাবি, তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল। তিনি এই ঘোষণার বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি লিখেন, “আজ আমার ফেসবুক আইডি সন্ধ্যায় হ্যাক হয়ে যায়। সেখান থেকে কিছু আপত্তিকর পোস্ট হয়। কোনও মহিলা বা কোনও সম্প্রদায় সম্পর্কে এসব আমি বলিনি। আমিও খুব অবাক হয়েছি। ঘটনার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি যাঁদের অনুভূতি আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে তাঁরা অনুগ্রহ করে আমায় ক্ষমা করে দিন। আমি এর জন্য সত্যিই দুঃখিত।”
কঙ্গনা বর্তমানে মানালিতে রয়েছেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত এবং তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে মুম্বই পুলিশ৷ বান্দ্রা মেট্রোপলিটন আদালতের নির্দেশে এই এফআইআর দায়ের করা হয়৷ বলিউডের কাস্টিং ডিরেক্টর এবং ফিটনেস ট্রেনার মুনাওয়ার আলি সায়েদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ দেয় আদালত৷ এর পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার একটি টুইট করেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সেখানে তিনি লেখেন, “কারা কারা নবরাত্রির উপোস করছেন? আজ নবরাত্রি উৎসবের ছবি। আমিও উপোস করেছি। তবে এই সময় আমার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। মহারাষ্ট্রের পাপ্পু সেনা তো আমার প্রতি অবসেসড হয়ে পড়েছে। আমাকে এত মিস করার দরকার নেই। আমি শীঘ্রই ওখানে যাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, কঙ্গনার নামে একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা। মুম্বইয়ের বান্দ্রা আদালতে অভিযোগ জানানো হয় কঙ্গনা রানাওয়াত সোশ্যাল মিডিয়ায় বলিউডে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করছেন। ফৌজদারি আইনে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ, ২৯৫-এ এবং ১২৪-এ ধারায় কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ৷ শনিবার সায়েদের আইনজীবী আদালতকে জানান, ‘‘গত দুই মাস ধরে একের পর এক টুইট করে এবং টেলিভিশনের সামনে নেপোটিজম, ফেভারিটিজম, মাদক যোগের প্রসঙ্গ তুলে বলিউডকে অপমান করে চলেছেন কঙ্গনা৷ এখানেই শেষ নয়৷ তিনি খুবই আপত্তিজনক টুইট করেছেন৷ যা কেবল ধর্মীয় অনুভূতিতেই আঘাত করে না৷ তা যথেষ্ট উস্কানিমূলক৷’’ কেন কঙ্গনা এবং তাঁর দিদি ক্রমাগত এহেন মন্তব্য করে চলেছেন তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন মুনাওয়ার। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ থাকলে, এই ধারায় তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।