মুম্বই: উর্মিলা মাতন্ডকারকে জাতীয় টেলিভিশনে ‘সফট পর্ন অভিনেত্রী’ বলে কটাক্ষ করলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এর আগে কঙ্গনা রানাউত একাধিক বলিউড ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধাচরণ করেন। তখনই প্রবিবাদ করেন জয়া বচ্চন। এরপর তাঁকেও একহাত নেন কঙ্গনা। জয়ার পর এখন তাঁর টার্গেট উর্মিলা।
মঙ্গলবার সমাজবাদী পার্টির সদস্য ও অভিনেত্রী জয়া বচ্চন হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে কয়েকজনের অপবাদ ও মাদকের অভিযোগের বিষয়ে সংসদে আওয়াজ তোলেন। রাজ্যসভার অধিবেশনে জয়া বলেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিকে কলঙ্কিত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিনোদন জগতের মানুষ হয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইন্ডাস্ট্রির বদনাম করা হচ্ছে৷ যাঁরা বলিউডে কাজ করে তাঁদের নাম করেছেন, তাঁরাই বলিউডকে নর্দমা বলে মন্তব্য করছেন৷ আমি এই বিষয়ে একেবারেই সহমত নই৷ সরকারের উচিত সেই সকল মানুষকে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা৷’’ এরপর টুইট করে কঙ্গনা বলেন, ‘‘আমার জায়গায় যদি আপনার মেয়ে শ্বেতাকে মাদক খাইয়ে কিশোরী বয়সে নির্যাতন করা হত, তাহলেও কি আপনি একই কথা বলতেন? বা আপনার ছেলে অভিষেক যদি ক্রমাগত হেনস্থার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করত, তাহলেও কি আপনি একই কথা বলতেন? আমাদের জন্যও একটু সহমর্মিতা দেখান৷’’ জয়ার এই মন্তব্যগুলি সেক্সিজমকে প্রাধন্য দেয় এই অভিযোগ তুলে টুইটারে শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে তাঁকে “নির্লজ্জ মহিলা” বলেও অভিহিত করেছেন।
জয়ার পর এবার নিশানায় ‘রঙ্গিলা’ অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ উর্মিলা মাতন্ডকার। ২০১৯ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন উর্মিলা। পরে সেই দল থেকে ইস্তফাও দেন। তিনি অভিযোগ তোলেন, দলের অন্দরেই রাজনীতি চলে। তাই তিনি ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি কঙ্গনা রানাউতেরও বিরুদ্ধাচারণ করেন। কঙ্গনা বলেছিলেন যে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ৯৯% তারকা মাদক নেন। এই মতেরই সমর্থন করেননি উর্মিলা। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “গোটা দেশ মাদকের মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি। তিনি (কঙ্গনা) কি জানেন যে হিমাচল ড্রাগের উৎস? তাঁর নিজের রাজ্য থেকেই শুরু করা উচিত।” এর উত্তরে বুধবার কঙ্গনা রানাউত মুখ খোলেন। জাতীয় টেলিভিশনে উপস্থিত হয়ে একটি সাক্ষাৎকারে, তিনি উর্মিলাকে একহাত নেন। তাঁর মন্তব্যেরও বিরোধিতা করেন। বলেন, “উর্মিলা তিনি একজন সফট পর্ন তারকা। আমি জানি এটা খুব নির্লজ্জ। তবে তিনি নিশ্চিতভাবে অভিনয়ের জন্য পরিচিত নন। তিনি কি জন্য পরিচিত? ঠিক সফট পর্ন করার জন্য? যদি তিনি টিকিট পেতে পারেন তবে আমি কেন টিকিট পাব না?” কঙ্গনার এই উক্তির পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। কঙ্গনাকে একের পর এক আক্রমণ করা হয়। তাঁকে ‘আত্মকেন্দ্রিক’ বলেও কটাক্ষ করা হয়।