মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলা শুরু হওয়ার পর থেকে একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন কঙ্গনা রানাউত। স্বজনপোষণের নীতির কথা তিনিই তোলেন। বলেন বলিউডের স্বজনপোষণ নীতির ফলে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত। ফলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। আর এবার সুশান্ত সিং রাজপুতের মামলায় যখন ড্রাগ পাচারের সঙ্গে যোগ থাকার কথা সামনে এল তখনও মুখ খুললেন কঙ্গনা। বলিউডের প্রথম সারির কয়েকজনের উপর অভিযোগের আঙুল তুললেন তিনি।
কঙ্গনা বলেছেন বলিউডের কয়েকজন প্রথম সারির নায়ক-নায়িকাকে টেস্ট করালে দেখা যাবে তারা মাদকাসক্ত। এই প্রসঙ্গে তিনি রণবীর কাপুর, রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, ভিকি কৌশলের নাম নিয়েছেন। বলেছেন, তাঁদের রক্ত নিয়ে ড্রাগ তেস্ট করালেই দেখা যাবে তাঁরা প্রত্যেকেই কোকেন অ্যাডিক্টেড।
I request Ranveer Singh, Ranbir Kapoor, Ayan Mukerji, Vicky Kaushik to give their blood samples for drug test, there are rumours that they are cocaine addicts, I want them to bust these rumours, these young men can inspire millions if they present clean samples @PMOIndia 🙏 https://t.co/L9A7AeVqFr
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 2, 2020
প্রসঙ্গত গত বছরের রাজনীতিবিদদের সির্সা করণ জোহারের পার্টির একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সেখানেই অভিনেতা-অভিনেত্রী দেখা গিয়েছিল এবং রাজনীতিবিদ ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই ড্রাগ নিয়ে আছেন। তাই তাঁদের এমন অবস্থা।
#UDTABollywood – Fiction Vs Reality
Watch how the high and mighty of Bollywood proudly flaunt their drugged state!!
I raise my voice against #DrugAbuse by these stars. RT if you too feel disgusted @shahidkapoor @deepikapadukone @arjunk26 @Varun_dvn @karanjohar @vickykaushal09 pic.twitter.com/aBiRxwgQx9
— Manjinder Singh Sirsa (@mssirsa) July 30, 2019
#UDTABollywood – Fiction Vs Reality
Watch how the high and mighty of Bollywood proudly flaunt their drugged state!!
I raise my voice against #DrugAbuse by these stars. RT if you too feel disgusted @shahidkapoor @deepikapadukone @arjunk26 @Varun_dvn @karanjohar @vickykaushal09 pic.twitter.com/aBiRxwgQx9
— Manjinder Singh Sirsa (@mssirsa) July 30, 2019
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর জানা যায় গত ছয় মাসে সাতখানা ছবি হাতছাড়া হয়েছিল সুশান্তের। যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও তিনি ছবি পাননি। অন্যদিকে এই চুক্তির কারণে সঞ্জয় লীলা বনশালির রামলীলা তাঁর হাতছাড়া হয়। এছাড়া সামনে আসে সুশান্তকে করণ জোহারের ধর্মা প্রোডাকশন, সলমান খানের প্রযোজনা সংস্থার সহ একাধিক প্রযোজনা সংস্থা ব্যান করেছিল। যার ফলে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা। এই সমস্ত টানাপোড়েনের কথা যখন প্রকাশ্যে আসে তখন এও জানা যায় রিয়ার সঙ্গে মহেশ ভাটের সম্পর্ক ছিল। জানা যায় মহেশ নাকি রিয়াকে বলেছিলেন সুশান্তর কাছ থেকে সরে আসতে। সবমিলিয়ে সুশান্ত মানসিক দিক থেকে যথেষ্ট ভেঙে পড়েছিলেন। কঙ্গনা তখন সরাসরি বলেছিলেন করণ জোহার, আদিত্য চোপড়া, মহেশ ভাট মিলে একসঙ্গে নাকি খুন করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুতকে। কঙ্গনার কথাতেই উঠে আসে চলচ্চিত্র সমালোচক রাজীব মসন্দের নাম।
এর মধ্যেই আবার করণ জোহর সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছেন যে নিজের বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লিখছেন তিনি। তাঁর দুই সন্তান জহির সঙ্গে অনেক দুষ্ট-মিষ্টি অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সেই সব কথায় তিনি নিজের বইয়ে লিখবেন। এরপরেই সেই টুইট শেয়ার করেন কঙ্গনা। সঙ্গে তিনি লিখেন করণ জোহর, আদিত্য চোপড়া, মহেশ ভাট, রাজীব মাসান্দ আর মিডিয়া মাফিয়া মিলে সুশান্তকে খুন করার জন্য দায়ী। সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের ছেলেকে শেষ করে এখন করণ নিজের সন্তানদের প্রমোট করছেন বলেও মন্তব্য করেন কঙ্গনা।
Karan Johar, Aaditya Chopra, Mahesh Bhatt, Rajeev Masand and entire army of blood thirsty vultures the mafia media killed Sushant, only son of the family succumbed to bullying, exploitation and harassment in Bullywood and here KJO promoting his kids! SHAME .. https://t.co/wrKEAkDgik
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 1, 2020
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় এখন তিন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিহারের রাজীবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং। তাঁর একাধিক অভিযোগের মধ্যে অন্যতম ছিল রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার জট কাটাতে তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। তদন্তের সময়ই উঠে আসে রিয়া ও সুশান্তের সঙ্গে ড্রাগ চক্রের যোগের কথা। মামলায় ঢোকে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এই সংস্থার হাতে বুধবার মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার হয় আবদুল বাসিত ও জাইদ ভিলাত্রা। রিয়া চক্রবর্তী অ্যাসোসিয়েট স্যামুয়েল মিরান্ডা তাঁকে ও তাঁর ভাই সৌভিককে ড্রাগ এনে দিতেন। স্যামুয়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আবদুল বাসিতের। এর পিছনে একাধিক তথ্যপ্রমাণও পেয়েছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ধৃত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন আবার বলিউডের সঙ্গে মাদকচক্রের যোগাযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।