মুম্বই: রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিহার পুলিশে দায়ের করা এফআইআরে সুশান্তের বাবা কে কে সিং 'আত্মহত্যায় প্রবণতা' দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। এফআইআরের জবাবে রিয়া মামলাটি বিহার পুলিশের কাছ থেকে মুম্বই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন। রিয়ার এই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ কামিয়া পাঞ্জাবি এবং শেখর সুমন। রিয়াকে একহাত নিয়েছেন তাঁরা।
শেখর সুমন লিখেছেন: “রিয়া আর রেহাই পাবেন না। রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করা হোক।” অন্যদিকে কামিয়া পাঞ্জাবি লিখেছিলেন, “এসব দিয়ে কী দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন রিয়া? ভাই ও বোনের মধ্যে লড়াই হয়। এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। কিন্তু ও (সুশান্ত) তো তোমার সঙ্গে থাকত। ওর বোনের সঙ্গে নয়। সমস্ত ক্রেডিট কার্ড তুমি ব্যবহার করতে। ওর বোন ব্যবহার করত না।” কামিয়া এই মন্তব্যের সঙ্গে হ্যাশট্যাগে জুড়ে দিয়েছিলেন 'রিয়ার রিয়ালাটি' ও 'সুশান্তের জন্য ন্যায়বিচার'। তবে কামিয়া পাঞ্জাবি ও শেখর সুমন রিয়ার বিরোধিতা করলেও আয়ুষ্মান খুরানা ও স্বরা ভাস্করের মতো অভিনেতা অভিনেত্রীরা কিন্তু রিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বরা জানিয়েছেন রিয়ার বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে সেসব থামানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। স্বরা এও জানিয়েছেন মামলা যাই হোক তা যেন আদালতের মধ্যে বিচার হয়। এমনকী মিডিয়ায় রিয়ার বিরুদ্ধে যে সমস্ত খবর ছাপা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে যদি আদালত হস্তক্ষেপ করে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিনেত্রী।
কিছুদিন আগে বিহারের রাজীবনগর থানার সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন অভিনেতার বাবা কে কে সিং। এফআইআর-এ শুধু রিয়ার নাম ছিল না। ছিল আরও ৫ জন ব্যক্তির নাম। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। রিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কে কে সিং। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল বিহার পুলিশ। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রিয়া। তাঁর আবেদন ছিল মামলা যেন বিহার থেকে মুম্বইয়ে সরিয়ে আনা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। এরপর পুলিশের তরফে একটি টিম মুম্বই তদন্ত করতে আসে। তার কিছুদিন পর ওই দলটিকে নেতৃত্ব দিতে বিহার থেকে এক আইপিএস অফিসারকে মুম্বই আনা হয়। কিন্তু সেই অফিসার মুম্বইয়ে পদার্পণ করার পরই তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনা করা হয় মহারাষ্ট্র প্রশাসন এবং মুম্বাই পুলিশকে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়াকে নিয়ে নিত্য নতুন ট্রোলের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।