মুম্বই: এতদিন নে'টদুনিয়ায় ট্রেন্ডিং ছিল 'জাস্টিস ফর সুশান্ত'। রিয়ার বিরুদ্ধে উঠছিল একের পর এক অভিযোগ। কিন্তু এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং 'জাস্টিস ফর রিয়া'। টুইটারে রীতিমতো হ্যাশট্যাগ তৈরি হয়েছে এই নিয়ে। কিন্তু হঠাৎ কেন ভোলবদল নেটিজেনদের? এমন কী করলেন রিয়া?
দিনকয়েক আগে কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। বলেছিলেন অনেক অজানা কথা। সুশান্তের সঙ্গে তাঁর ইউরোপ ট্রিপ, সুশান্তের অসুস্থতা, ড্রাগ নেওয়া সহ একাধিক কথা বলেছেন রিয়া। এর মধ্যে ইডি ও সিবিআইয়ের ম্যারাথন জেরার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এর ফলেই নেটিজেনদের একাংশের মনে করছে রিয়া হয়তো সম্পূর্ণ দোষী নয়। হয়তো তিনিও ষড়যন্ত্রের শিকার। তাঁদের মতে, তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত শেষ হওয়ার আগে রিয়াকে দোষী তকমা দেওয়া অনুচিত। কেউ আবার লিখেছেন, “রিয়া সুশান্তের প্রেমিকা ছিলেন। সমাজে সব দোষ তো প্রেমিকাদেরই হয়। রিয়া দোষী না নির্দোষ তা বিচার করার সাধারণ মানুষ কেউ নয়। আইন হাতে নেওয়ার অধিকার কারওর নেই।” আবার একজন লিখছেন, “সুশান্তের ন্যায়বিচার যেমন আমরা চাই, তেমনই তোমারও ন্যায়বিচার চাই। যদি তুমি দোষী হও, তোমার কঠিন শাস্তি হোক। কিন্তু সত্যি যদি নির্দোষ হয়ে থাকো তবে যে মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে তুমি যাচ্ছ, তাঁর জন্য আমি সবার তরফ থেকে ক্ষমা চাইছি।“ অনেকে আবার এও বলেছেন, রিয়া সফ্ট টার্গেট বলেই তাঁকে অপদস্থ করা হচ্ছে। এর ফলে আসল অপরাধীরা আরও আড়ালে চলে যাচ্ছেন না তো?
#JusticeForRhea
Sometimes what we think is not https://t.co/xLa6JKGpRl's high time to stand for her also..Just because @Tweet2Rhea was his girlfriend it doesn't mean that she is the culprit.
Who are we to judge anybody's personal life when we don't know what actually happened.— Himadri Bora (@HimadriBora7) August 28, 2020
#JusticeForRhea@shwetasinghkirt I am really sad for your loss but we all are waiting for CBI result.Till now we have been hearing all of your https://t.co/DSQeuIXkPv first time @Tweet2Rhea has given interview you shouldn’t have any problem with that. Plzz for #JusticeforSushant
— TimetoSpeak (@SpeakTimeto) August 27, 2020
এই সব কারণেই টুইটারে এখন ট্রেন্ডিং 'জাস্টিস ফর রিয়া'। অনেকে আবার এর বিরোধিতাও করেছেন। তাঁদের মতে, এসব একেবারেই রিয়ার ‘পাব্লিসিটি স্টান্ট’। তাঁদের প্রশ্ন, ‘রিয়া কেন সুশান্তকে ড্রাগ দিয়েছিলেন?’ এছাড়া মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। প্রশ্ন তোলের আর্থিক তছরূপ সহ আরও একাধিক বিষয় নিয়ে।
সম্প্রতি রিয়া সিবিআইকে জানিয়েছেন যে তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের কোনও কর্মীকে আগে চিনতেন না। তিনি বলেছিলেন, “আমি কর্মীদের নিয়োগ করিনি বা বরখাস্তও করিনি। আমার জীবনে আসার আগে সিদ্ধার্থ পিঠানি সুশান্তের বাড়িতে ছিলেন। স্যামুয়েল মিরান্ডাকে সুশান্তের বোন এনে দিয়েছিলেন। দীপেশ আগে থেকেই সুশান্তের পরিচারক ছিলেন। কেশব এবং নীরজকেও সুশান্ত নিয়োগ করেছিলেন। সুশান্তই আমাকে তাঁর কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।” রিয়া বলেন যে সুশান্তের হতাশা ছিল। তাঁর প্যানিক অ্যাটাক হত। রিয়া তাঁর সঙ্গে দেখা করার আগে থেকেই সুশান্ত ওষুধ খাচ্ছিলেন। রিয়া দাবি করেছিল যে সুশান্তই তাঁকে ডাক্তারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। সুশান্তই ঠিক করতেন কোন ডাক্তারের থেকে চিকিৎসা করাবেন। রিয়ার মতে, প্রয়াত অভিনেতা জানিয়েছিলেন যে তিনি ২০১৩ সালে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন।