মুম্বই: কঙ্গনা রানাউতের উপর এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন জাভেদ আখতার। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী যে সব কথা বলেছেন, তা নিয়েই আপত্তি রয়েছে জাভেদ আখতারের। তাই কবি ও গীতিকার মুম্বইয়ের একটি আদালতে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন।
পশ্চিম মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় জাভেদ আখতার মানহানির জন্য কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগে জাভেদ আখতার বলেছেন, কঙ্গনা রানাউত এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা একেবারেই ভিত্তিহীন। তাঁর এমন মন্তব্য জাভেদের খ্যাতির উপর আঘাত হেনেছে। সংবাদমাধ্যমকে সুশান্তের মৃত্যুর কথা বলার সময় বলিউডের একটি গোষ্ঠীর কথা বলার সময় কঙ্গনা রানাউত তাঁর নামে টেনে আনেন বলে অভিযোগ। তবে কঙ্গনার তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডের একের পর এক অন্ধকার দিক তুলে ধরতে শুরু করেন কঙ্গনা রানাউত। সেখানে যেমন নেপোটিজম ইস্যু রয়েছে, তেমনই রয়েছে ড্রাগ অ্যাঙ্গেল। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। সম্প্রতি একটি আপত্তিকর পোস্ট নিয়ে কঙ্গনা রানাউত এবং তাঁর বোন রাঙ্গোলি চন্দেলের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। তাঁদের ১০ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা আইনজীবী দেশমুখ বলেন যে “রঙ্গোলি এবং কঙ্গনা উভয়েরই সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ অনুগামী এবং তাঁরা প্রশংসিত, প্রভাবশালী ও বিখ্যাত ব্যক্তি। তাঁদের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক যোগাযোগের কথা উল্লেখ করার দরকার নেই। অভিযুক্ত উভয়ই একসঙ্গে এখন এবং পরে অযৌক্তিক বিতর্ক তৈরি করেন এবং তা কারোর অজানা নয়। অভিনেতা হৃতিক রোশন, আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে এমনকি শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক সহ বড় বড় মিডিয়া গ্রুপ এবং বলিউড ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেক কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। অভিযুক্তরা এখন পিছিয়ে পড়েছেন এবং ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা স্বেচ্ছায় অবৈধ ও অপরাধমূলক কাজ করতে লিপ্ত হয়েছেন। তাঁরা পোস্টের মাধ্যমে দেশে সম্প্রীতির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কুসংস্কারমূলক কাজ করেছে। এটি এক শ্রেণীর ধর্মীয় অনুভূতি অবমাননা করে। এটি অভিপ্রায়মূলক অবজ্ঞাপূর্ণ, অবমাননাকর ও মানহানিকর পোস্ট।”