মুম্বই: রমরমিয়ে চলছে ‘বিগ বস ওটিটি’র দ্বিতীয় সিজন৷ সেখানেই সেটে উঠল চুমুর ঝড়৷ প্রকাশ্যে একে অপরের ঠোঁটে ঠোঁট রাখলেন জাদ হাদিদ এবং আকাঙ্ক্ষা পুরী৷ লাইভ ক্যামেরায় ধরা পড়ল তাঁদের নিবিড় চুম্বনের দৃশ্য৷ ৩০ সেকেন্ডেরও একটু বেশি সময় ধরে একে অপরকে জড়িয়ে চুম্বনরত অবস্থায় থাকেন জাদ-আকাঙ্ক্ষা। এই মুহূর্তে তাঁরাই টক অফ দ্য টাউন৷ চুম্বন ঘিরে উঠেছে বিতর্কেরও ঝড়৷
কালো এবং সাদা- দুই দলের দুই প্রতিযোগীর সাহসী চুম্বনের ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটারে ট্রেন্ডিং। তবে এই চুম্বন প্রেমের নয়৷ বরং প্রতিযোগিতারই অংশ৷ বিগ বসের ঘরে নানা নির্দেশ পালন করতে হয় অংশগ্রহণকারীদের। এই চুম্বনও ছিল সেই নির্দেশরই অঙ্গ! তবে জাদকে চুমু খেয়েও বিগ বসের ঘরে থাকতে পারলেন না আকাঙ্খা৷ বিগ বস হাউসে তাঁর জার্নি দুই সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। দর্শকদের কাছ থেকে সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে তিনি ছিটকে যান৷ উল্টে মিলল ‘ব্যাড কিসার’-এর তকমা৷ আকাঙ্ক্ষা ঠোঁটে ঠোঁট রাখার পর জাদ বলেন, ‘‘ও ঠক ঠক করে কাঁপছিল। ফলে আমার কোনও অনুভূতি ছিল না। শো-এর শুরুতে ওঁর প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। তবে এখন সেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। শুধুই খেলার জন্য করেছিলাম। এর কোনও মূল্য নেই আমার কাছে। শুরুর দিকে আমি চাইলেও এখন আর কোনও ইচ্ছে নেই।’’
চুমু নিয়ে বিগ বসের ঘরেও কম বিতর্ক হয়নি৷ অবিনাশ সচদেবা এই টাস্ক ঘোষণা করার পরেই দুই দলের মধ্যে তর্ক বেধে যায়৷ কত ক্ষণ ধরে চুমু খেতে হবে বিরোধী পক্ষকে? তা নিয়ে শুরু হয় শোরগোল৷ শেষ অবধি ঠিক হয়, ৩০ সেকেন্ড ধরে চুম্বন করলেই হবে। নির্দেশ মেনে নিজেদের তৈরি করে নেন আকাঙ্ক্ষা এবং জাদ। এর পর বেশ হাসি মুখেই চুম্বন করতে দেখা যায় তাঁদের।
আশপাশে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা অনেকেই তাঁদের উৎসাহ যোগাচ্ছিলেন দুই প্রতিপক্ষকে। অনেকে আবার চোখ ঢাকেন লজ্জাতে। কিন্তু সময় পেরনোর পরও চুম্বনের ঘোর থেকে বেরোতে পারেননি দু’জনেই। শেষে হাউসের সদস্যরাই বলে ওঠেন, “অনেক হয়েছে, এ বার দু’জন দু’জনকে ছাড়ো।”
যদিও পূজা ভাট প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করছিলেন৷ এদিকে, জাদ আবার মনীষা রানির ক্রাশ৷ তবে আকাঙ্খাকে চুম্বন করায় একেবারেই বিমর্ষ নন মনীষা৷ এই ঘটনায় অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টুইটার ইউজাররা। এক ইউজার কটাক্ষ করে লিখেছেন, “জাদ এবং আকাঙ্ক্ষা পরস্পরকে ঠোঁটে চুম্বন করলেন। এই একটা কাজই ওঁরা খুব ভাল করতে পারেন। দু’জনেই খুব ভাল ভাবে কাজটা করেছেন।” অপর এক জনের কথায়, “বিগ বস্- আড়াল-আবডাল বলে আর কিছুই থাকল না!”