করোনা আবহে সুখবর, রাজ্যের দুটি গ্রামের দায়িত্ব নিলেন জ্যাকলিন

মুম্বই: জন্মদিনের সবাই চায় নতুন কিছু করতে। নতুন যদি কিছু করা সম্ভব নাও হয় অন্তত এমন কিছু, যা স্মৃতিতে রয়ে যাবে। নিজের জন্মদিনের দিন এমনই একটি কাজ করলেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। মহারাষ্ট্রের দুটি গ্রামের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

91fe66d332b2306b81a3f2ad86ab0d22

মুম্বই: জন্মদিনের সবাই চায় নতুন কিছু করতে। নতুন যদি কিছু করা সম্ভব নাও হয় অন্তত এমন কিছু, যা স্মৃতিতে রয়ে যাবে। নিজের জন্মদিনের দিন এমনই একটি কাজ করলেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। মহারাষ্ট্রের দুটি গ্রামের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

গ্রাম দত্তক নেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে অনেক তারকারাই গ্রাম দত্তক নিয়েছেন। দত্তক নেওয়ার অর্থ সেই গ্রামের সমস্ত উন্নয়ন গ্রামের মানুষের দেখভাল সবই করবেন তাঁরা। জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ গ্রাম দত্তক না নিলেও তিন বছরের জন্য গ্রামের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের পাথরডি এবং সাকুর নামে দুটি গ্রামের দায়িত্ব নিয়েছেন জ্যাকলিন। জানা গিয়েছে দুই গ্রাম মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার মানুষ বাস করেন। প্রত্যেকের অন্নসংস্থানের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী। ১১ আগস্ট নিজের জন্মদিনের দিন এমনই ঘোষণা করেন জ্যাকলিন। জানা গিয়েছে ওই দুই গ্রামের মানুষের অনেকেই অপুষ্টির শিকার। টাকা-পয়সাও তেমন নেই যে নিজেদের পুষ্টির জন্য পর্যাপ্ত ও ডায়েট মেনে খাবার খাবেন। অনেকের বাড়িতে তো দুবেলা দুমুঠো অন্নসংস্থানই হয় না। তার ওপরে চলছে করোনা পরিস্থিতি। মাসের বেশিরভাগ দিনই দুবেলা উপোস করে কাটছে গ্রামের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের। এছাড়া ওষুধপত্র, চিকিৎসা, হাসপাতাল সব কিছুতেই সমস্যা। এই কথা কানে যাওয়া মাত্রই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন জ্যাকলিন। জানান ওই দুই গ্রামের সমস্ত রকমের দায়িত্ব নেবেন তিনি।

জ্যাকলিন জানিয়েছেন এমন পরিকল্পনা তিনি অনেক দিন ধরেই করছেন। তিনি দুস্থদের পাশে দাঁড়িয়ে সরাসরি সমাজ সংস্কারে নামতে চাইছিলেন। এবার সেই সুযোগ মিলল। আর সুযোগ পাওয়া মাত্রই তা হেলায় হারাতে চাননি অভিনেত্রী। করোনার ফলে এখন অনেকেরই অবস্থা বেশ খারাপ। কিন্তু সৌভাগ্যবশত তাঁর দিনগুজরান হয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক চাহিদাগুলো মিটেও উপরি থাকছে অনেক কিছুই। সেগুলোই কাজে লাগাতে চাইছিলেন জ্যাকলিন। গ্রামের অপুষ্টি ও চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা শুনে তাই তিনি এগিয়ে আসতে দ্বিধাবোধ করেননি। আগামী তিন বছরের জন্য ওই দুই গ্রামের সমস্ত মানুষের খাবারের পাশাপাশি অপুষ্টির দিকেও সেদিকে নজর দেবেন তিনি। শোনা গিয়েছে সদ্যোজাতদের কিভাবে খেয়াল রাখতে হয় তা জানাতে স্বাস্থ্য সচেতনতায় প্রচার করবেন। এর জন্যে ওই গ্রামের ১৫০ জন মহিলাকে নাকি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে খবর। এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই ৭ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই দুই গ্রামে কুড়িটি কিচেন গার্ডেন তৈরি করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *