মুম্বই: ১৪ দিনের জেল হেফাজতের পাশাপাশি মঙ্গলবার রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের আবেদনও নাকচ করে আদালত। নিজের রাগ বিরক্তি প্রকাশ করতে টুইটার হ্যান্ডেলকেই ব্যবহার করলেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী। রিয়ার বিচার চেয়ে করা একটি পোস্টের জবাবে তিনি তাঁর যাবতীয় ক্ষোভ ও হতাশা উগরে দেন।
তিনি লেখেন, কোনও বাবা তার মেয়ের প্রতি অবিচার মেনে নিতে পারেন না, আমার মরে যাওয়া উচিত। নিজের আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন গোটা দেশ কোনও প্রমাণের অপেক্ষা না রেখেই রিয়াকে জেলে পাঠানোর দিকে ঝুঁকে রয়েছে। এর আগে রিয়ার ভক্ত ও অনুরাগীদের জন্য তাঁর আপডেট দেন।
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো রিয়াকে গ্রেফতারের পর তিনি টুইটে জানান রিয়ার জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে গেছে। বাকি বিষয়টি জানা যাবে বৃহস্পতিবার সেশনস্ কোর্টে। রিয়ার রিমান্ডের আবেদনে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি লেখে ড্রাগ সিন্ডিকেটের তিনি একজন সক্রিয় সদস্য এবং ড্রাগ পাওয়ার জন্য প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে মিলে তিনি অর্থের জোগান দিতেন। একই সঙ্গে রিয়ার স্বীকারোক্তির কথাও এতে উল্লেখ করেছে এনসিবি।
তারা জানিয়েছে ড্রাগ আনানোর সঙ্গে নিজের যোগ এবং অর্থের লেনদেনের কথা অভিনেত্রী স্বীকার করেন। তিনি নিজের ভাই সৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং রাঁধুনি দীপেশ সাওয়ান্তকে যে নির্দেশ দিতেন তাও স্বীকার করেছেন রিয়া, বলে দাবি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর।তাঁর বিরুদ্ধে বয়ফ্রেন্ড সুশান্তের জন্য মারিজুয়ানা জোগাড় ও কেনার অভিযোগ রয়েছে এনসিবির।
নিজেদের হেফাজতে না রেখে তাঁর জন্য জেল হেফাজতের দাবি করে এনসিবি। তাঁকে ২২ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এক ম্যাজিস্ট্রেট। অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁর ১০ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত জেল এবং এক লক্ষ টাকার বেশি জরিমানা হতে পারে।
১৪ জুন নিজের মুম্বইয়ের বাসভবনে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতদেহ মেলে। বর্তমানে তাঁর হত্যা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি।