রিয়ার ‘দুই বাবা’ ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে সুশান্তকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস জিম ইন্সট্রাক্টরের

মুম্বই: সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যে সুশান্ত ঘনিষ্ঠ একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন আধিকারিকরা। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতির মধ্যে সুশান্ত সিং রাজপুতের জিম ইনস্ট্রাক্টর সুনীল শুক্লা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর 'দুই বাবা' মিলে একসঙ্গে ছক কষে সুশান্ত সিং রাজপুতকে হত্যা করেছেন। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েচেন তিনি।

মুম্বই: সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যে সুশান্ত ঘনিষ্ঠ একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন আধিকারিকরা। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতির মধ্যে সুশান্ত সিং রাজপুতের জিম ইনস্ট্রাক্টর সুনীল শুক্লা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর 'দুই বাবা' মিলে একসঙ্গে ছক কষে সুশান্ত সিং রাজপুতকে হত্যা করেছেন। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েচেন তিনি।

সুশান্তের জিম ইনস্ট্রাক্টর সুনীল স্পষ্ট জানিয়েছেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং রিয়ার 'সুগার ড্যাডি' মহেশ ভাট একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ রিয়ার বাবা সুশান্তকে নিয়মিত ওষুধ খাওয়াতেন। তিনি এও খোলসা করেছেন যে ৮ জুন রিয়া সুশান্তের বাড়ি থেকে চলে যান। তবে তার পরেও কেউ রোজ সুশান্তকে সেই ওষুধ খাওয়াতেন। তখন একমাত্র সুশান্তের রাঁধুনী নীরজ, সুশান্তের বন্ধুর সিদ্ধার্থ পিঠানি ও পরিচারক দীপেশ সাওয়ন্ত বাড়িতে থাকতেন। তাহলে কে সুশান্তকে নিয়মিত এই ওষুধ দিতেন? এ নিয়ে একের পর এক উঠছে প্রশ্ন। সুনীল জানিয়েছেন সুশান্ত জিম করতেন এবং তার পাশাপাশি মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেতেন। তাঁর মতে সুশান্তের মৃত্যু একেবারেই স্বাভাবিক নয়। এ বিষয়ে তিনি একপ্রকার নিশ্চিত।

এরই মধ্যে রবিবার সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল মুম্বইয়ের হাসপাতালে যায়। এখানে অভিনেতার ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। হাসপাতালে ডিন ও যে কজন চিকিৎসক অভিনেতার ময়নাতদন্ত করেছিলেন, তাঁদের সকলের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এছাড়া সুশান্তের তুতো ভাই এবং বিজেপি নেতা বাবলু অভিযোগ তুলেছেন সুশান্তের মৃত্যুতে কোনও না কোনও ডাক্তারের যোগসাজশ রয়েছে। নাহলে এভাবে নিখুঁত পরিকল্পনা করা সম্ভব নয়। তিনি এও অভিযোগ করেছেন সুশান্তের দুই কাছের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠান এবং সন্দীপও এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত।

এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে তার রাঁধুনী নীরজ এবং বন্ধু সিদ্ধার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কিন্তু এই দুজনের বয়ানের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তাই ফের তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। নীরজ জানিয়েছেন সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ প্রথম দেখেছিলেন সিদ্ধার্থ। এনিয়ে সিদ্ধার্থের মতামত জানতে সোমবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সুশান্তের মৃত্যুর দিন ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে রবিবার সিদ্ধার্থ, নীরজ এবং সুশান্তের কর্মচারী দীপেশের সঙ্গে সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে যায় সিবিআই এর একটি দল। সঙ্গে ছিল ফরেনসিকও। সেখানে গোটা ঘটনার পুনঃ নির্মাণ করা হয়। শোনা যাচ্ছে রিয়া চক্রবর্তীকেও বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ নিয়ে রিয়াকে খুব শীঘ্রই তাকে সমন পাঠানো হতে পারে বলে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 2 =