মা হিন্দু, তাই আমাকে কেউ বিশ্বাস করত না, বিস্ফোরক নওয়াজের ভাইঝি

মা হিন্দু, তাই আমাকে কেউ বিশ্বাস করত না, বিস্ফোরক নওয়াজের ভাইঝি

7e616fa56a26d858f9cd531bcda764bd

মুম্বই: শেষ তিন চার বছরে বলিউডে যে অভিনেতাকে নিয়ে সম্ভবত সবথেকে বেশি চর্চা হয়েছে তিনি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। অনেক বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিকে স্ট্রাগল করার পর ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’ থেকে উত্থান হল তাঁর। এরপর একের পর ছবিতে সম্পূর্ণ নিজস্ব অভিনয় ভঙ্গিমায় সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন তিনি। এহেন নওয়াজের কর্মজীবন ‘ব্লকবাস্টার’ হলেও ব্যক্তিগত জীবনে রীতিমতো ‘ফ্লপ’ খাচ্ছেন তিনি। কিছুদিন আগেই তাঁর স্ত্রী বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা করেছেন নওয়াজের বিরুদ্ধে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নওয়াজেরই ভাইঝি সাশা সিদ্দিকি। নওয়াজের কনিষ্ঠতম ভাইয়ের বিরুদ্ধে এনেছেন যৌন হেনস্থার অভিযোগও।

এক সাক্ষাৎকারে সাশা জানিয়েছেন, তাঁর মা হিন্দু হওয়ায় পরিবারে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করত না। বলিউড তারকার ছোট ভাই মিনাজউদ্দিন সিদ্দিকির বিরুদ্ধে লাগাতার যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন সাশা। জানিয়েছেন, মিনাজ প্রায়ই তাঁর শরীরে স্পর্শ করত, যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোরাজুরি করত। সাশা শেষ পর্যন্ত সম্মত হতেন না এবং বদলে কাকার হাতে নির্মমভাবে মার খেতে হত। এই নিয়ে পরিবারে অভিযোগ করেও কোনও লাভ হত না বলেছেন সাশা। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ন’ বছর বয়স মিনাজের এই যৌন উৎপীড়ন শুরু হয়, এবং চলতে থাকে ১৮ বছর পেরনো অবধি। সকলের চোখের সামনে ঘটলেও পরিবারের কেউই, এমনকী তাঁর বাবাও সাশার অভিযোগ করতেন না বলে জানান তিনি।

সাশা আরও বলেন, আমার মা পাঞ্জাবি। তিনি এ ধরনের পারিবারিক হিংসা এবং হয়রানি সহ্য করতে না পেরে সাশার বাবা এবং নওয়াজের পরিবার ছেড়ে চলে যান। কিন্তু সাশাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। যখনই মিনাজের যৌন হেনস্থা নিয়ে সাশা অভিযোগ করতেন, তখনই তাঁকে বলা হত, ‘তোর মা হিন্দু, আমরা তোকে বিশ্বাস করি না।’ একটা সময়ের পরে আর বাড়িতে থাকতে পারেননি সাশা, কারণ তাঁদের পরিবারে মেয়েদের পড়াশোনা করা উচিত নয় বলে মনে করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বলিউড তারকার ভাইঝি এবং পরিবারের অমতে বিয়েও করে নেন তিনি। এজন্য তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলাও করে নওয়াজের পরিবার বলে জানিয়েছেন সাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *