মুম্বই: অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে জট৷ সুশান্ত-মামলায় ফের প্রশ্নের মুখে রিয়া চক্রবর্তী৷ শুক্রবার জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের অফিসে উপস্থিত হয়েছিলেন রিয়া৷ টানা সাড়ে ৮ ঘণ্টার জেরায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য৷
তদন্তের উঠে আসছে রিয়ার সম্পত্তি, টাকাপয়সা এবং এলাহি জীবনযাত্রা৷ সুশান্তের বাবা কেকে সিং বিহার থানায় রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন৷ তিনি আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন, রিয়া সুশান্তের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তছরুপ করেছেন৷ সেই ভিত্তিতেই ইডি রিয়ার কাছে জানতে চান, ২০১৮-১৯ সালে রিয়া আয় করেছিলেন মাত্র ১৪ লক্ষ টাকা, সেখানে তিনি কীভাবে ৬৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি খরচ করেন! কোথা থেকে পেলেন রিয়া এত টাকা!
ইডি সূত্রে খবর, মুম্বইয়ে রিয়ার নিজের নামে দুটি বিলাসবহুল আবাসন আছে৷ মুম্বইয়ের খারের আবাসনটির দাম ৮০ লক্ষ টাকা৷ দ্বিতীয়টির বাজার দর ৬০ লক্ষের কাছাকাছি৷ পাশাপাশি দুটো দামি গাড়ি৷ অভিজাত এলাকায় এত দামি ফ্ল্যাট কেনার টাকা কোথায় পেলেন রিয়া, প্রশ্ন ইডির৷
সুশান্তের বাবার অভিযোগ, সুশান্তের ব্যাঙ্ক থেকে ১৫ কোটি টাকা সরিয়েছিলেন রিয়া৷ ইডি জানিয়েছে সুশান্তের মোট ৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে দু’টি থেকে বড় অঙ্কের টাকা গিয়েছে রিয়ার অ্যাকাউন্টে৷ রিয়ার আবাসনগুলির কাগজপত্রও দেখতে চেয়েছেন ইডি৷ সুশান্তের বন্ধুবান্ধব, ম্যানেজার, বাড়ির পরিচারিকারা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, সুশান্তকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন রিয়া৷ রিয়ার বিলাসবহুল জীবন কাটানোর সমস্ত খরচ চলত সুশান্তের ক্রেডিট কার্ড থেকেই৷
সুশান্তের দুটি সংস্থার মধ্যে একটি ছিল আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সর অংশীদার ছিলেন রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী৷ অন্য আরেকটি সংস্থা ‘ভিভিড্রেজ রিয়ালিটিক্সে'র ২০১৯ থেকে সুশান্তের পাশাপাশি অংশীদার ছিলেন রিয়া ও সৌভিক উভয়৷ আর তৃতীয় কোম্পানি ‘ফ্রন্ট ইন্ডিয়া’র টাকার লেনদেন রিয়ার হাত থেকে করাতেন সুশান্ত৷ রিয়া এসব বিষয়ে কিছুই মনে নেই বলে জানিয়েছেন৷ সুশান্তের সম্পর্কিত দাদা নীরজ কুমার বলেছেন, রিয়া যদি সত্যিই নির্দোষ হয়ে থাকেন, তাহলে পালিয়ে না গিয়ে, তদন্তে তিনি সহযোগিতা করুন৷