মুম্বই: বলিউডে ড্রাগ খুব সাধারণ ব্যাপার। বলেছেন পায়েল রোহাতগি। সম্প্রতি জানিয়েছেন, এ নিয়ে লোকে কথা বলে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কাজের কাজ কিছুই হয় না। সুশান্তের মৃত্যু আগে পর্যন্ত এ নিয়ে চর্চাই হয়নি। বলেছেন পায়েল।
সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে ড্রাগ চক্রের যোগ রয়েছে বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। এর পিছনে রিয়ার হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রিয়া বিরুদ্ধে NDPS আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছে।
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে ইডির তরফে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল সেখানে উল্লেখিত সকলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তারা। সূত্রের খবর, নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইন ১৯৮৫-এর আওতায় মামলা করেছে এনসিবি। ২০, ২২, ২৭ ও ২৯ ধারায় রিয়া ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই ধারাগুলি অনুযায়ী ড্রাগ সেবন ও ড্রাগ পাচার ছাড়াও একাধিক অভিযোগ উঠেছে রিয়ার বিরুদ্ধে। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক স্বার্থে ড্রাগের আদান-প্রদান ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগও উঠেছে। আইন অনুযায়ী রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অন্তত ১০ বছরের জেল হতে পারে তাঁর।
এছাড়া সুব্রহ্মণ্যম স্বামী টুইটারে লিখেছেন, সুশান্ত সিং রাজপুতকে যেদিন 'খুন' করা হয়, সেদিন আয়ুশ খান নামের এক ব্যবসায়ী অভিনেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু কেন? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে তিনি তুলে আনেন সুনন্দা পুস্করের মৃত্যুর ঘটনা। বলেন, সুনন্দা পুস্করের মৃত্যুর পর সত্যি ঘটনা উল্লেখ করা হয়নি ময়নাতদন্তে। এমনকী তাঁর পাকস্থলীতে কিছু পাওয়া গিয়েছিল যা এইমসের তরফে প্রকাশ করা হয়নি। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী রিয়া চক্রবর্তী সঙ্গে মহেশ ভাটের সম্পর্কের কথাও তুলে এনেছেন। তিনি জানিয়েছেন যদি রিয়া চক্রবর্তী মহেশ ভাটের সঙ্গে হওয়া সমস্ত কথা প্রকাশ করেন, তাহলে সিবিআইয়ের তাঁকে গ্রেপ্তার করা উচিত। পুলিশি হেফাজতে রেখে অভিনেত্রীকে জেরা করা হোক বলেও দাবি তুলেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।