নয়াদিল্লি: ফের করোনার বলি টিনসেল টাউনের এক ব্যক্তিত্ব। মুম্বইয়ের সেভেনহিল হাসপাতালে করোনার সঙ্গে যুদ্ধে সোমবার সকালে ভোরে টেলিভিশন অভিনেত্রী দিব্যা ভাটনগর প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পরে দিব্যাকে ভেন্টিলেটারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু দিব্যার উচ্চ রক্তচাপ ছিল। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে করোনার সঙ্গে লড়াই করার পর প্রয়াত হন তিনি।
দিব্যার মা এর আগে বলেছিলেন যে অভিনেত্রীর অবস্থা বেশ গুরুতর এবং তাঁকে ভেন্টিলেটরের সাপোর্টে রাখা হয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পরে ২৬ নভেম্বর তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি নিউমোনিয়ায়ও ভুগছিলেন। তাঁর মা বলেছিলেন, “দিব্যার স্বাস্থ্যের কথা জানার পরে আমি এবং আমার ছেলে মুম্বইয়ে আসি। দিব্যার অবস্থা গুরুতর এবং বর্তমানে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন।” অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে দিব্যার মা ও ভাই মুম্বই থেকে দিল্লি আসেন।
দেবলীনা ভট্টাচার্য তাঁর ইনস্টাগ্রাম পেজে অভিনেত্রীর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি অভিনেত্রীর সঙ্গে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন এবং একটি আবেগমূলক নোট লিখেছেন। জানিয়েছেন যে তাঁকে সবাই মিস করবে। দেবলীনা লিখেছেন, “যখন কেউ কারোর সঙ্গে থাকে না তখন তুই থাকতি… দিবু তুই তো আমার নিজের ছিলি যাকে আমি বকতে পারতাম, যার উপর আমি রাগ করতে পারতাম, মনের কথা বলতে পারতাম… আমি জানি তোর যন্ত্রণা ছিল অসহনীয়… তবে আমি জানি আজ তুই অবশ্যই আরও ভাল জায়গায় রয়েছিস এবং সমস্ত দুঃখ, বেদনা, দুঃখ, প্রতারণা, মিথ্যাচার থেকে মুক্ত থাকতে হবে… আমি তোকে মিস করব দিবু ও তুইও জানতি আমি তোকে ভালবাসতাম এবং যত্ন নিতাম… বড় তুই ছিলি কিন্তু বাচ্চাও তুইই ছিলি… ঈশ্বর তোর আত্মাকে শান্তি দিন। এখন তুই যেখানে রয়েছিস, ভাল থাকিস। তোকে খুব মনে পড়বে।”
শিল্পা শিরোদকরও দিব্যার সঙ্গে একটি ফটো শেয়ার করেছেন। লিখেছেন, “আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। আমার প্রিয়তম দিব্যাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য।” অভিনেত্রীর মা আরও প্রকাশ করেছিলেন যে দিব্যার বিয়ে ভেঙে গিয়েছে এবং সে কারণেও তিনি বেশ চাপে ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে গগন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন দিব্যা ভাটনগর। তিনি বিনোদন জগতের একটি অংশ এবং বেশ কয়েকটি রিয়েলিটি শোয়ের সঙ্গে যুক্ত। তবে, গগন তাঁর জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় দিব্যা একা থাকতেন। দিব্যা ভাটনগরের কমেডি শো ‘তেরা ইয়ার হুন ম্যায়’-এর শুটিং চলছিল, তখনই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। তিনি অন্যদের মধ্যে ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলতা হ্যায়’, ‘সংস্কার’, ‘উদ্যান’, ‘জিত গই তো পিয়া মোরে’, ‘বিষ’ এবং ‘সানওয়ার সাবকো প্রিতোর’ মতো শো করেছেন।