Aajbikel

দীর্ঘ লড়াইয়ে ইতি, দিল্লির হাসপাতালে প্রয়াত কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব

 | 
রাজু

মুম্বই:  দীর্ঘ লড়াইয়ে ইতি। না ফেরার দেশে বলিউডের কৌতুকশিল্পী  রাজু শ্রীবাস্তব। গত ১০ অগাস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর দিল্লি এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে৷ মঙ্গলবার সকালে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কৌতুকশিল্পী। অবস্থার অবনতি হলেও পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন রাজু। তবে ১ সেপ্টেম্বর তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয় তাঁকে৷ 

আরও পড়ুন- কোটিপতির কন্যা, কফিও খান বিশেষ ভাবে তৈরি করা! চেনেন সুনীল শেট্টির হবু বৌমাকে?


গত ১০ অগাস্ট জিম করার সময় আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন রাজু। অসুস্থ হয়ে পড়তেই তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু মস্তিষ্ক সাড়া দিচ্ছিল না৷ অচৈতন্য হয়ে পড়েন। নিয়ে যাওয়া হয় ভেন্টিলেশনে৷ কৃত্তিম উপায়ে চলছিল শ্বাসপ্রশ্বাস৷ তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকেরা। প্রথমে চিকিৎসায় কিছুটা সাড়া দিয়ছিলেন রাজু৷ কিন্তু পরে ফের অবস্থার অবনতি হতে থাকে৷ তার উপর জ্বর ও সংক্রমণের সমস্যাও ভোগাচ্ছিল। রাজুর খবর নিতে তাঁর স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৌতুকশিল্পীর খোঁজ নেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। অনুরাগীরাও তাঁর জন্য প্রার্থনা করছিলেন। তবে সব প্রার্থনাই বিফল৷ চিরবিদায় নিলেন হাসির সম্রাট। 

রাজু ছিলেন সেই জাদুকর, যিনি মন খারাপের দিনেও মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতেন৷ বলিউডে খুব ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। পরিবারের কেউই অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ফলে তথাকথিত  রুপোর চামচ মুখে নিয়ে জন্মও হয়নি তাঁর। বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন নিজের উদ্যম আর পরিশ্রমে। ম্যায়নে পেয়ার কিয়া, বাজিগর, বোম্বে টু গোয়া ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে দেখা গিয়েছিল রাজুকে৷ আমদানি আঠান্নি খরচা রুপাইয়া ছবিতে একজন হাস্যকৌতুক অভিনেতা হিসেবেই অভিনয় করেছিলেন তিনি।


বড় পর্দায় খুব বেশি দাপট না থাকলেও তিনি ছিলেন ছোটপর্দার ‘হাসির রাজা’৷ একের পর এক হাস্যকৌতুক শো-এ তিনি অংশ নিয়েছেন, সঞ্চালনা করেছেন৷ রাজু ছিলেন কমেডি নাইটস উইথ কপিল, মজাক মজাক মে, লাফ্টার চ্যালেঞ্জ, ইত্যাদি শো-এর অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ 

১৯৬৩ সালে কানপুরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম রাজু শ্রীবাস্তবের। তাঁর বাবা রমেশ চন্দ্র শ্রীবাস্তব ছিলেন কবি। তিনি পরিচিত ছিলেন বলাই কাকা নামে৷ ছোট থেকেই মানুষের চালচলন, কথা-বার্তা দারুণভাবে নকল করার প্রতিভা ছিল রাজুর। ছোটবেলা থেকেই তিনি চেয়েছিলেন মানুষকে হাসাতে৷ তাঁর কথা শুনে গোমড়া মুখেও হাসি ফুটত৷ সেই রাজু চলে গেলেন ৫৮ বছরে৷ 


 

Around The Web

Trending News

You May like