কলকাতা: শুরু হয়েছে আনলক ৫। এই পর্বে ১৫ অক্টোবর থেকে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরের সমস্ত স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স, বিনোদন পার্ক ও সুইমিং পুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই মানতে হবে কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় আড়াইশোটি সিনেমা হল ও এক ডজন মাল্টিপ্লেক্সও এই সময় খুলবে। এমনটাই জানিয়েছেন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত।
তিনি জানিয়েছেন, নতুন ছবি সাধারণত শুক্রবার মুক্তি পেত। তাই সিনেমা হল ও মাল্টিপ্লেক্স শুক্রবার থেকে খুলতে চাইছেন মালিকরা। এছাড়া পুজোর সময় অনেকগুলি নতুন বাংলা ছবি মুক্তি পাবে। অনেক ছবির আবার রি-রিলিজ হবে। তাই শুক্রবার থেকেই সরকারি করোনা বিধি মেনে হল খোলা হবে। সিনেমা হলে প্রবেশ করতে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া দর্শকদের প্রবেশের আগে হবে থার্মাল স্ক্রিনিং। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি শোয়ের আগে হলগুলি স্যানিটাইজ করা হবে। টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকিট কাউন্টার যেন খোলা থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। কিন্তু সুরক্ষার খাতিরে অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। সিনেমা হলের মাত্র ৫০ শতাংশ আসনই বুক করা যাবে বলেও ইমপা তরফে খবর। একটি শো শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে অন্য শো শুরু করা যাবে না। সিনেমা হলে শুধুমাত্র প্যাকেট করা খাবার নিয়ে যাওয়া যাবে।
তবে আনলক ৫-এ পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি ও মহারাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে স্কুল খোলা হচ্ছে না। পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের মতো কিছু রাজ্য অবশ্য স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে উপস্থিতি নিয়ে কড়াকড়ি থাকবে না। প্রতি ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের লিখিত অনুমতি নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি কেউ অনলাইনে ক্লাস করতে চাইলে সেই সুযোগ দেওয়া হবে। বিনোদন পার্কের ক্ষেত্রে খোলার আগে ও বন্ধের পর স্যানিটাইজ করতে হবে। বিশেষ করে যে সব জায়গা সবাই ধরে সেগুলিকে স্যানিটাইজ করতে হবে। মাস্ক ফেলার জন্য আলাদা ডাস্টবিন রাখা বাধ্যতামূলক। ওয়াটার রাইড খোলা থাকলেও জল যেন নিয়ম মেনে জীবানুমুক্ত করা হয়। প্রতিদিন ক্লোরিন দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখতে হবে। ভিড় যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। সুইমিং পুলে সর্বাধিক কুড়িজনের বেশি নামতে দেওয়া হবে না। ট্রেনিং সেন্টারে যাঁরা থাকেন তাঁদের কোভিড নেগেটিভ হতে হবে। প্রত্যকে ট্রেনিং সেন্টারে কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্স রাখতে হবে।