‘মিঠুন তিনবারের জাতীয় পুরস্কারজয়ী, আবারও পাওয়ার ক্ষমতা রাখেন’, ‘বন্ধু’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিরঞ্জিত

‘মিঠুন তিনবারের জাতীয় পুরস্কারজয়ী, আবারও পাওয়ার ক্ষমতা রাখেন’, ‘বন্ধু’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিরঞ্জিত

কলকাতা: দেব ও মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত প্রজাপতি নিয়ে রাজনৈতিক তরজার মাঝেই মহাগুরুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁরই সমসাময়িক অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী৷ যদিও অতীতেও মিঠুনের প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে৷ আরও একবার মিঠুনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ  বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক৷ সোমবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি উপলক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে চিরঞ্জিত বলেন, ‘‘মিঠুন তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর শিল্পীসত্তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশই নেই। তিনি আবারও জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন৷’’ একইসঙ্গে এদিন রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রারও প্রশংসা করেন চিরঞ্জিত। 

আরও পড়ুন- আবারও সব্যর পাশে হাসিমুখে ঐন্দ্রিলা! আচমকাই সক্রিয় প্রয়াত অভিনেত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট!

প্রসঙ্গত, মিঠুন চক্রবর্তী ও দেব অভিনীত প্রজাপতি ছবিতে লেগেছে রাজনীতির রং৷ সরকারের নন্দন প্রেক্ষাগৃহে এই ছবির ঠাঁই হয়নি৷ যা ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও কম হয়নি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মিঠুনকে ‘ফ্লপ’ বলে খোঁচা দেন। পাল্টা দেন দেব৷ তিনি বলেন, “কুণাল ঘোষের হয়ত সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা নেই।” এরইমধ্যে প্রজাপতি ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য WBFJA পুরস্কার পান মিঠুন।

সোমবার এই পুরস্কার প্রসঙ্গে চিরঞ্জিতকে প্রশ্ন করা হয়৷ জানতে চাওয়া হয়, তিনি কীভাবে মিঠুনের এই স্বীকৃতিকে দেখছেন? জবাবে বারাসতের বিধায়ক বলেন, “খুবই ভাল খবর। যে কোনও শিল্পীর পক্ষে পুরস্কার পাওয়াটা গর্বের। বিতর্কটা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। নন্দনে ছবি দেখানোর সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘শোয়ের জন্য যে ভাবে আবেদন জানাতে হয়, তাতে কিছুটা ত্রুটি ছিল বা পরে দেওয়া হয়েছিল। সে কারণে আবেদন গৃহীত হয়নি। তবে মিঠুন আমার খুব ভালো বন্ধু। ছোটবেলা থেকেই আমি ওঁকে চিনি। ওর বাড়িতে রাতও কাটিয়েছি৷ সম্প্রতি ওঁর ওখানে গিয়েছিলাম, উটি নিয়ে গিয়েছিল আমায়। ওসব বলে লাভ নেই। হি ইজ জাস্ট ফ্যান্টাস্টিক। ওঁকে জিজ্ঞাসা করলেও জানতে পারবেন, আমি একমাত্র লোক যে একবার একটা জায়গায় ঝামেলার সময় বলেছিলাম মিঠুন একমাত্র অভিনেতা যে তিনটে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। তাঁকে ডিনাই করার কোনও কারণ নেই।”