মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলার নয়া মোড়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা যোগ করার বিষয়ে বিবেচনা করছে বলে শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে। প্রয়াত অভিনেতার মৃত্যু মামলায় সিবিআই তদন্তের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করতে চলছে। সিআইআই জানিয়েছে যে, কোনও অ্যাঙ্গেলই উড়িয়ে দেওয়া হয়নি এবং সোমবার একটি বিবৃতি দিয়ে আশ্বাস দিয়েছিল যে পেশাদারভাবে এই তদন্ত চালানো হচ্ছে। AIIMS তার মেডিকেল-আইনী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই।
সিবিআই আশা করছে যে তাদের ভবিষ্যতের কর্ম পরিকল্পনাটি এই সপ্তাহের মধ্যেই ছক কষা হয়ে যাবে। তারা সম্ভবত সুশান্তের মামলায় দীপেশ সাওয়ান্ত, সিদ্ধার্থ পিঠানী এবং সুশান্তের সমস্ত কর্মচারী, যাঁরা বান্দ্রার ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের পুনরায় জেরা করতে পারে। বুধবার, রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্ক জানিয়েছে যে এইমস রিপোর্টে সুশান্তের মামলায় কোনও হত্যাকাণ্ডের অ্যাঙ্গেলকে প্রমাণিত বলা হয়নি, যা ‘সুইসাইড থিওরি’র বিপরীতে যাচ্ছে। প্রমাণ ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সমর্থন করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। এদিকে গত সপ্তাহে বিকাশ সিং বলেন যে একজন চিকিৎসক যিনি এইমস দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তিনি তাঁকে অনেক আগেই বলেছিলেন যে তাঁর প্রেরিত ছবিগুলি “২০০ শতাংশ ইঙ্গিত দিয়েছে যে এটি গলা টিপে হত্যা। আত্মহত্যা নয়।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে অভিনেতা মারা যাওয়ার মামলায় তদন্তের অগ্রগতি জানানোর জন্য সিবিআই কোনও সংবাদ সম্মেলন করেনি।
সূত্রের খবর, সিদ্ধার্থ পিঠানিকে সিবিআইয়ের রাডারের অধীনে রাখা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ তাঁর সমস্ত বিষয় নিয়ে তদারকি করছে। তিনি ১৪ জুন মুম্বইয়ে সুশান্তের বান্দ্রার বাড়িতে ছিলেন। ১৩ জুন পিঠানিই একমাত্র ‘বাইরের লোক’ ছিলেন যিনি সুশান্তের বাড়ি এসেছিলেন। সিদ্ধার্থ পিথানি বর্তমানে অভিনেতার মৃত্যুর তদন্তে সাক্ষী হতে পারেন বলে খবর। তিনি ১৬৪ ধারা অনুসারে সিবিআইয়ের কাছে একটি বিবৃতি রেকর্ড করতে পারেন। সুশান্তের কুক নীরজও সাক্ষী হতে পারেন বলে খবর। বর্তমানে সিবিআই সুশান্তের মৃত্যুর মামলাটি তদন্ত করছে। অন্যদিকে এনসিবি মাদকের অ্যাঙ্গেল অনুসন্ধান করছে এবং ইডি আর্থিক তছরূপের বিষয়টি তদন্ত করছেন।
ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩০২ ধারায় কী কী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে?
- আইপিসির অধীনে, ৩০২ ধারা হত্যার অপরাধের শাস্তি উল্লেখ করেছে।
- ধারাটিতে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি খুন করে তাকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে এবং জরিমানার জন্যও দায়ী হতে হবে।”
- ধারা ৩০২-এরর অধীনে কোনও ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য, আইপিসির ৩০০ ধারা অনুযায়ী সংজ্ঞায়িত আইনটি খুনের অপরাধ হিসাবে প্রমাণিত হওয়া দরকার।
- ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা যদি কোনও ব্যক্তি হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় তবে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিকল্প শাস্তি প্রদান করে।
- খুনের মামলায় শাস্তিও অপরাধের গুরুতর কতটা তার উপর নির্ভর করে এবং এটি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
