রিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পারে সিবিআই! বাড়ছে আশঙ্কা

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিককে হেফাজতে নিয়েছে NCB। এবার শোনা যাচ্ছে গ্রেপ্তার হতে পারেন রিয়া চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার সূত্র মারফত জানা গিয়েছে সিবিআই রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করতে পারে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০০ ধারায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে বলে সূত্রের খবর।

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিককে হেফাজতে নিয়েছে NCB। এবার শোনা যাচ্ছে গ্রেপ্তার হতে পারেন রিয়া চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার সূত্র মারফত জানা গিয়েছে সিবিআই রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করতে পারে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০০ ধারায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে বলে সূত্রের খবর।

ঘটনার তদন্তের সময় সিবিআই জানতে পারে যে রিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরে সুশান্তের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর পুরো পরিবার ড্রাগ নিতেন করেছিল। সুশান্তের সংস্পর্শে আসার পরে রিয়া অভিনেতার অবসাদ দূর করতে তাঁকেও ড্রাগ ধরান বলেও অভিযোগ। সূত্র জানিয়েছে যে রিয়া সর্বদা তাঁর ভাই সৌভিকের মাধ্যমে ঘরে পর্যাপ্ত ড্রাগ রাখতেন যাতে সুশান্ত নেশা নিয়ে কোনও সমস্যায় না পড়েন। সুশান্ত এভাবেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এদিকে, সুশান্তের দিদিরা সুশান্তকে মাদক সেবন রোধ করার কথা জানতে পেরে তাঁরা তাঁকে রিয়া থেকে দূরে থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সুশান্ত রিয়াকে ছাড়া থাকতে পারতেনন না।

সূত্রের খবর, এর পরে সুশান্তের বোন এবং রিয়ার মধ্যে তর্ক হয় এবং রিয়া সুশান্তকে একটি আলটিমেটাম দেন এবং বলেন, 'হয় আমার সঙ্গে থাকো, আমাকে বিয়ে করো, বা তোমার পরিবারে ফিরে যাও।' এর পরে সুশান্ত তাঁর পরিবারের সাথে কম যোগাযোগ করতে শুরু করেন। এরপর ৪ জুন দিশা স্যালিয়ান মারা যাওয়ার পরে সুশান্ত মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং রিয়ার সঙ্গে তাঁর ঝামেলাও হয়। এর পরেই রিয়া সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তার পর থেকে সুশান্ত বেসি করে ড্রাগ নিতে শুরু করেন এবং রিয়ার উদাসীনতার কারণেই সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিলেন বলেও খবর।

এখনও অবধি তাদের তদন্তে সিবিআই জানিয়েছে যে সুশান্ত তাঁর বোন এবং রিয়ার লড়াইয়ের মধ্যে পিষে যাচ্ছিলেন। সমস্ত ঝগড়া শেষ করার জন্য তিনি নিজেকে ফাঁসি দিয়েছিলেন। দিল্লির ICICI ব্যাংকের কাছে রিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সুশান্তের অর্থ স্থানান্তরের কোনও প্রমাণ সিবিআইও পায়নি। তবে সূত্র বলছে যে সিবিআই মনে করে যে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন। খুনের কোনও প্রমাণ তারা পায়নি। সিবিআই এও মনে করে সুশান্তকে মাদকাসক্ত করা হয়েছিল এবং এ কারণেই তার অবস্থার অবনতি ঘটে। এরই মধ্যে সুশান্তের সঙ্গে তাঁর পরিবারে ফাটল সৃষ্টি করার জন্য রিয়াই দায়ী এবং রিয়া তাঁকে ছেড়ে চলে যান। এত কিছু একসঙ্গে মানতে পারেননি সুশান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =