মুম্বই: বলিউডে ফের ছন্দপতন। প্রয়াত হলেন স্বনামধন্য কোরিয়োগ্রাফার সরোজ খান। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় তাঁর। গত ২০ জুন শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বান্দ্রার গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সরোজ। বুধবার রাত থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ভাগ্না মনীষ জগওয়ানি পিটিআইকে তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। মৃত্যুকালে সরোজের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
হাসপাতালে নিয়ম মেনে তাঁর করোনা টেস্ট ও করানো হয়েছিল। রিপোর্ট ছিল নেগেটিভ। দিনকয়েক আগেই পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছিল হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন সরোজ হয় এবং খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ঘরে ফেরা হলনা ইন্ড্রাস্ট্রির সকলের অত্যন্ত প্রিয় 'মাস্টারজি'র'। কিন্তু হাসপাতাল থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না সরোজের। হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই বিদায় নিলেন তিনি।
তিন বার জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী সরোজ খানের বলিউডে অভিষেক ১৯৭৪-এ ‘গীতা মেরা নাম’ ছবিতে কোরিয়োগ্রাফির মাধ্যমে। এরপর প্রায় চার দশক ধরে তাঁর কোরিওগ্রাফি নজির স্থাপন করেছে। দু’হাজারেও বেশি গানে কোরিয়োগ্রাফি করেছেন। বয়েসের ভার তাঁকে কাজ থেকে দূরে রাখতে পারেনি। গতবছর পর্যন্ত কাজ করেছেন। ২০১৯-এ ‘কলঙ্ক’ ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের গানেই শেষবারের মতো কোরিওগ্রাফি করেন তিনি।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কোরিওগ্রাফির বেশিরভাগই ছিল মাধুরী দীক্ষিত ও শ্রীদেবীর সঙ্গে। একটা সময় শ্রীদেবীর সঙ্গে মিঃ ইন্ডিয়া, চাঁদনী, নাগিনার মত একের পর এক সুপারহিট ছবিতে কাজ করে তাকে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর করোওগ্রাফিতে শ্রীদেবীর 'হাওয়া হাওয়াই', মাধুরীর এক দো তিন' বলিউডের প্রচলিত কোরিওগ্রাফিতে বৈচিত্র্য এনেছিল। থানেদার ছবির তামা-তাম্মা লোগে,বেটা-তে ধক্ ধক্ করনে লগা- তেওঁ ছিল সেই বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। সরোজেরর মৃত্যতে স।বম্ভ শোকাহত বলিউড।ট্যুইট করেও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অনেকইে এএনআই সূত্রে খবর আজ অর্থাৎ শুক্রবারই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সরোজ খানের। সরোজের পরিবারে থেকে গেলেন তাঁর স্বামী সোহানলাল, ছেলে রাজু এবং দুই কন্যা হিনা ও সুকন্যা।