মুম্বই: শিবসেনার বিরুদ্ধে কঙ্গনার মন্তব্যের পরে তাঁর উপর ঝুলছে খাঁড়া। বুধবার সকালে অভিনেত্রীর মুম্বই অফিস ভাঙার কথা ঘোষণা করে বৃহনমুম্বাই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন। জানানো হয় কঙ্গনার অফিসে একাধিক এমন নির্মাণ রয়েছে যা বেআইনি। এরপরই শুরু হয়ে যায় অফিস ভাঙার কাজ। অভিনেত্রী এই ঘটনাকে রাম মন্দির ভাঙার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
টুইটারে কঙ্গনা লিখেছেন, “মণিকর্ণিকা ফিল্মস তার প্রথম ছবি 'অযোধ্যা'র ঘোষণা করে দিয়েছে। এই অফিস আমারর কাছে শুধু কোন বিল্ডিং নয়, রাম মন্দির। আজ সেখানে বাবর এসেছে এবং ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। রাম মন্দির ভাঙা হচ্ছে। কিন্তু বাবর, মনে রেখো। এই মন্দির আবার তৈরি হবে। জয় শ্রীরাম।” এরপর অভিনেত্রী আরও একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে কর্পোরেশন এবং পুলিশের লোকেরা তাঁর অফিস ভাঙচুরের কাজ করছে। ছবির ক্যাপশনে কঙ্গনা লিখেছেন, “বাবর আর তার সেনা।”
null
Babur and his army 🙂#deathofdemocracy pic.twitter.com/L5wiUoNqhl
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 9, 2020
I am never wrong and my enemies prove again and again this is why my Mumbai is POK now #deathofdemocracy 🙂 pic.twitter.com/bWHyEtz7Qy
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 9, 2020
I am never wrong and my enemies prove again and again this is why my Mumbai is POK now #deathofdemocracy 🙂 pic.twitter.com/bWHyEtz7Qy
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 9, 2020
Pakistan…. #deathofdemocracy pic.twitter.com/4m2TyTcg95
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 9, 2020
আর একটি টুইটে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “আমি ১২ বছর বয়সে হিমাচল প্রদেশ ছেড়ে চণ্ডীগড়ে হস্টেলে গিয়েছিলাম। এরপর আমি দিল্লিতে ছিলাম। ১৬ বছর বয়সে মুম্বই আসি। তখন আমাকে কয়েকজন বন্ধু বলেছিলেন যে মুম্বইয়ে তারাই থাকতে পারে যাদের মুম্বাদেবী চান। আমরা সবাই মুম্বাদেবী দর্শনে গিয়েছিলাম। আর তারপর থেকে মুম্বাদেবী আমাকে তাঁর কাছে রেখে দিয়েছেন।”
null
একটি টুইট অভিনেত্রী লিখেছেন, “এই মুম্বাই আমার বাড়ি। আমি জানি মহারাষ্ট্র আমাকে সবকিছু দিয়েছে। কিন্তু আমিও মহারাষ্ট্রকে আমার ভক্তি ও প্রেম দিয়ে এমন একজন মেয়ে উপহার দিয়েছি যে মহারাষ্ট্রের শিবাজী মহারাজের জন্মভূমিতে মেয়েদের সম্মান ও অস্তিত্বের জন্য নিজের রক্ত পর্যন্ত দিতে পারে। জয় মহারাষ্ট্র।”
null
কঙ্গনা এও লিখেছেন, “রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের সাহস, শৌর্য আর বলিদানের জীবন আমি ফিল্মে কাটিয়েছি। দুঃখের বিষয় আমাকে আমার মহারাষ্ট্রের যাওয়া থেকে আটকানো হচ্ছে। আমি রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করব। ভয় পাবো না, ঝুঁকব না। কোন কিছু ভুল হলে তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলব। জয় মহারাষ্ট্র। জয় শিবাজি।”
null