কলকাতা: পরপর তিন মডেল-অভিনেত্রীর মৃত্যু। স্বাভাবিকভাবেই বিরাট রহস্য তৈরি হয়েছে ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে। কীসের কারণে আত্মহত্যা সেই নিয়ে চলছে জোর চর্চা। অভিনেত্রী পল্লবী দের আকস্মিক মৃত্যুর পর মৃত্যু হয় মডেল বিদিশার। তারপর গতকাল আত্মহত্যা করে আরও এক মডেল মঞ্জুষা। তার মৃত্যুর পর মায়ের দাবি যে সে বিদিশার ঘটনা নিয়ে প্রচণ্ড কষ্টে ছিল। ওরা খুব বন্ধু ছিল। বিদিশা চলে যাওয়ার পরই নাকি মৃত্যুর বাসনা আরও বেশি জেগে ওঠে তাঁর মেয়ের মধ্যে। কিন্তু এই কথা একদমই মানতে চাইছে না বিদিশার কাছের বন্ধুরা। তাদের বরং দাবি, বিদিশা চিনতই না মঞ্জুষাকে! এমনকি তারা এই প্রেক্ষিতে এও বলছে যে, মঞ্জুষার মা মিথ্যে কথা বলছেন।
আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তির জেরেই এমন পরিণতি? মঞ্জুষার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের
পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে মঞ্জুসার ঝুলন্ত দেহ। মাস ছয়েক আগেই মঞ্জুসার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে নানা কারণে অশান্তি লেগেই থাকত। চার দিন আগে গত সপ্তাহেই পাটুলিতে নিজের বাপের বাড়িতে এসেছিলেন মঞ্জুষা। বৃহস্পতিবার তাঁকে শ্বশুরবাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর স্বামীও পাটুলির বাড়িতে এসেছিলেন বলে খবর। সেখানেই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির কারণেই মঞ্জুসার এমন পরিণতি কিনা সেই প্রশ্ন অনেকের মুখে। কিন্তু মঞ্জুষার মা সম্পূর্ণ অন্য কথা বলেছেন। সেই কথা বিশ্বাস না করেই এক সংবাদমাধ্যমে বিদিশার কয়েক জন বন্ধু দাবি করেছে যে, বন্ধুত্ব দূরের কথা, বিদিশা-মঞ্জুষা একসঙ্গে কাজ করেনি কোনও দিন। ফেসবুকে বিদিশার সঙ্গে তার কোনও ছবি পর্যন্ত নেই যেখানে বিদিশা নতুন কারোর সঙ্গে আলাপ হলেই ছবি পোস্ট করত। তাদের এও দাবি, মঞ্জুষা অনেক পরেই এই পেশায় এসেছে, মডেলিং সে বেশি দিন করছে না।
বিদিশার বন্ধুদের বক্তব্য, মঞ্জুষার মা হয়তো পারিবারিক কিছু লোকাতে চাইছেন। তাই সত্যি সামনে আনতে চাইছেন না। এই কারণেই বিদিশার মৃত্যুকে ‘ঢাল’ করে নিজের মেয়ের মৃত্যুর আসল কারণ আড়াল করতে চাইছেন। তারা ভয় পাচ্ছে যে এইভাবে তাদের বন্ধ বিদিশার মৃত্যুর ঘটনার কিনারা হবে না। চেপে যাবে। আসল দোষী হয়তো শাস্তি পাবে না।