‘সুশান্তের সঙ্গে লিভ-ইনে ছিলাম, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে’, সুপ্রিম কোর্টে জানালেন রিয়া

মুম্বই: সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করার সময় সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা মামলায় নিজের নির্দোষ দাবি করেন বলিউড অভিনেতা রিয়া চক্রবর্তী। বলেন যে তাকে এই মামলায় ভুলভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আবেদনে তিনি আরও দাবি করেন যে তিনি নিহত অভিনেতার সঙ্গে ‘লিভ-ইন রিলেশনশিপে’ ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে এই মামলার জন্য বিহারে 'নিরপেক্ষ তদন্ত' হতে পারে না। সেহেতু তিনি এফআইআরের তদন্ত মুম্বইতে স্থানান্তরের অনুমতি চেয়েছেন। রিয়া তাঁর পিটিশনে স্পষ্ট এ কথা লিখেছেন বলে খবর। 

 

মুম্বই: সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করার সময় সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা মামলায় নিজের নির্দোষ দাবি করেন বলিউড অভিনেতা রিয়া চক্রবর্তী। বলেন যে তাকে এই মামলায় ভুলভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আবেদনে তিনি আরও দাবি করেন যে তিনি নিহত অভিনেতার সঙ্গে ‘লিভ-ইন রিলেশনশিপে’ ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে এই মামলার জন্য বিহারে 'নিরপেক্ষ তদন্ত' হতে পারে না। সেহেতু তিনি এফআইআরের তদন্ত মুম্বইতে স্থানান্তরের অনুমতি চেয়েছেন। রিয়া তাঁর পিটিশনে স্পষ্ট এ কথা লিখেছেন বলে খবর। 

সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কে কে সিংয় পাটনায় রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া সহ বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করেছেন। প্রায় ১৬ পাতার সেই অভিযোগ দায়েরের পরে বিহার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার বিহার সরকার এবং সুশান্তের পরিবার রিয়ার আবেদনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সামনে ক্যাভিয়েট দায়ের করেছে। রিয়া বলেছিলেন এই মামলাটি পাটনা থেকে মুম্বইতে স্থানান্তরিত করতে চান তিনি। তাঁর আবেদনে তিনি দাবি করেছিলেন যে সুশান্ত কিছু কাল যাবৎই ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ১৪ জুন সকালে সুশান্ত তাঁর বান্দ্রার বাসভবনে আত্মহত্যা করেন। রিয়ার অভিযোগ তার পর থেকে তিনি খুন ও ধর্ষণের বিভিন্ন হুমকি পাচ্ছেন। এবং সুশান্তের মৃত্যুর কারণে তিনি গভীর মানসিক আঘাতের মধ্যে রয়েছেন। যা এই মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমের সংবেদনশীলতার কারণে আরও বেড়েছে। রিয়া আরও দাবি করেছেন যে তিনি মুম্বইয়ের সান্তা ক্রুজ থানায় খুন ও ধর্ষণের হুমকির বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ফ্যাশনে অনেক তাবড় হিরোইনদের টেক্কা দিতে পারেন তারা সুতারিয়া, দেখুন ছবি

এর আগে রিয়া এই মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এই মামলাটি কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) হাতে স্থানান্তর করতে চেয়ে অলকা প্রিয়া নামে একজন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি খারিজ করে দেয়। মুম্বই পুলিশ যেভাবে কাজ করছে তাতে আস্থা রাখার কথা বলে আদালত। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তদন্তে চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভট্ট, চলচ্চিত্র সমালোচক রাজীব মাসান্দ, পরিচালক-প্রযোজক সঞ্জয় লীলা বনশালি, চিত্রনায়ক আদিত্য চোপড়া সহ ৪১ জনের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − nine =