মুম্বই: অবশেষে জামিন পেলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান। মাদক মামলায় গত ৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহরুখ পুত্রকে। তার ২৬ দিন পর বম্বে হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করল। ২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজে হানা দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। শোনা যায়, এনসিবির সেই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। কর্ডেলিয়া ক্রুজের পার্টি থেকেই আরিয়ান ও তাঁর সঙ্গীদের আটক করা হয়। বেশ কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর ৩ অক্টোবর শাহরুখ পুত্রকে গ্রেফতার করা হয়।
আসলে এখন এই মামলা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ব্যাপক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন খোদ সমীর। এদিকে, এনসিবি-র অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে নিয়েও বিতর্ক কিছু কম নেই। ইতিমধ্যেই তাঁকে আটক করেছে পুনে পুলিশ। মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় এনসিবি-র অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে পুরনো একটি মামলায় আটক করা হয়েছে৷ বুধবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়৷ ২ অক্টোবর রাতে মুম্বইয় থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর রেভ পার্টিতে এনসিবি কর্তারা যখন হানা দিয়েছিলেন, সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিরণ গোসাভি। ওই পার্টিতে আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি রয়েছে তাঁদের৷ পরে এনসিবি’র অফিসে বসেও শাহরুখপুত্রের সঙ্গে নিজস্বী তোলেন তিনি। এই দুই ছবি একাধিক প্রশ্ন তুলেছে৷
উল্লেখ্য, রবিবার গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর সেইল দাবি করেন আরিয়ানের মুক্তির জন্যে টেলিফোনে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়া নিয়ে গোসাভিকে কথা বলতে শুনেছিলেন তিনি। তাঁর পরিকল্পনা ছিল শাহরুখ খানের ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই টাকা আদায় করা৷ ২৫ কোটি না মিললে ১৮ কোটিতে তিনি রফা করার ছক কষেছিলেন৷ এর মধ্যে আট কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে৷ প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে একটি প্রতারণা মামলায় গোসাভির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছিল পুণে পুলিশ৷ এর পর থেকেই গা ঢাকা দেয় গোসাভি৷ সম্প্রতি একটি অডিও প্রকাশ্যে আসে৷ যেখানে নিজেকে গোসাভি বলে পরিচয় দিয়ে লখনউয়ের থানায় ফোন করেন এক ব্যক্তি৷ তিনি আত্মসমর্পন করতে চান বলেও জানান৷