মুম্বই: মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর হল না। ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতেই থাকতে হবে শাহরুখের ছেলেকে। ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে হেফাজতে চেয়েছিল এনসিবি। কিন্তু আপাতত ৭ অক্টোবর পর্যন্তই আরিয়ানকে হেফাজতে পেল তারা। মাদক-কাণ্ডে শনিবার রাতে গোয়াগামী একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরী থেকে আটক হন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান৷ পরে দীর্ঘ জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)৷ জানা যায় শনিবার ওই বিলাসবহুল ক্রুজে মাদক পার্টি চলছিল৷
শুধু আরিয়ানই নন, মুনমুন ধমেচা এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্টকেও হেফাজতে নেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে এনসিবি’র৷ শনিবার বিলাসবহু প্রমোদতরীর মাদক পার্টি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদেরও৷ সোমবার আদালতে আরিয়ান, আরবাজ ও মুনমুন ছাড়াও আরও ৬ ধৃতকে হাজির করা হয়েছিল। যার মধ্যে একজন গ্রেফতার হয়েছেন আজ সকালেই। NCB-র পক্ষ থেকে আরিয়ানের ফোন আটক করা হয়েছে। সেখানে অনেক সন্দেহজনক চ্যাট আছে যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মাদক ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরিয়ানের।
যদিও শাহরুখ পুত্রের দাবি, তার ব্যাগ থেকে কিছু উদ্ধার হয়নি। আরবাজের কাছ থেকে যা পাওয়া গিয়েছে তা সামান্য। আর তাঁকে ওই পার্টিতে অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছিল, আলাদা সুইট ছিল তাঁর জন্য। তিনি এও জানান, তিনি এনসিবির সঙ্গে সমস্ত সহায়তা করছেন। শুরু থেকেই আরিয়ানের দাবি, তাঁকে ভিআইপি অতিথি হিসেবে সেখানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল তাই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এমনকি প্রবেশ মূল্যের ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাঁকে দিতে হয়নি। তিনি এও জানান, মাদকের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। জানা গিয়েছে, মহিলাদের হ্যান্ডব্যাগ, চশমার বাক্স থেকে মাদক উদ্ধার করেছেন এনসিবি আধিকারিকরা। যাত্রীর ছদ্মবেশে কর্ডেলিয়া নামে বিলাসবহুল ওই প্রমোদতরীতে গিয়েছিলেন তারা কারণ তাঁদের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল যে, এখানে মাদক সেবন চলছে। সেখানেই ধৃতদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন তারা।