মুম্বই: বাবা হয়ত আশা করেছিলেন যে আইনজীবী বদলে আজ ছেলের জামিন মিলবে। নতুন আইনজীবী কিছু মিরাকেল ঘটাবেন। কিন্তু আজও তেমন কিছু হল না। কারণ আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর হল না আজও। আপাতত তাঁর ঠিকানা হয়ে থাকবে জেলই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী বুধবার, ২০ অক্টোবর। ততদিন আরিয়ান থাকছেন জেল হেফাজতেই।
ইতিমধ্যেই এনসিবি বিস্ফোরক দাবি করে জানিয়েছে, শুধু মাদক সেবন নয় মাদক পাচারের সঙ্গেও যুক্ত আরিয়ান খান। বেশ কয়েক মাস ধরেই মাদক কেনাবেচা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সে। আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করার পর এনসিবি জানিয়েছিল যে তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভালো করে পরীক্ষা করা হবে। সেই কথাবার্তা তদন্ত করেই নাকি তারা জানতে পেরেছে যে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে যুক্ত আরিয়ান! একজন ব্যক্তি রয়েছেন যিনি সরাসরি আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে যুক্ত, কারো সঙ্গেই প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখতেন শাহরুখপুত্র বলে দাবি করেছে এনসিবি। এমনকি তাদের এও দাবি, প্রায় নিয়মিত ওই ব্যক্তির থেকে মাদক সংগ্রহ করত আরিয়ান। যদিও আরিয়ানের আইনজীবীর বক্তব্য, সেদিন ওই প্রমোদতরীতে শুধুমাত্র অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরিয়ান, সেখানে তার থেকে কোনও রকম মাদক পাওয়া যায়নি। আরিয়ানের আইনজীবী আরও বলছেন, তাঁর মক্কেলের কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। ফোনে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই এইভাবে তাঁকে আটকে রাখার কোনও অর্থ নেই।
গত ২ অক্টোবর রাতে মুম্বই থেকে গোয়াগামী বিলাসবহুল প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ার রেভ পার্টি থেকে আরিয়ান ও তাঁর সঙ্গীদের আটক করে এনসিবি৷ গোপন সূত্রে থবর পেয়ে যাত্রী সেজে প্রোমোদতরীতে ওঠেন এনসিবি অফিসাররা৷ টানা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান খানকে। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। থাকতে হবে আপাতত পরের বুধবার পর্যন্ত।