মুম্বই: সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে কঙ্গনা রানাউত এবং তাঁর বোন রাঙ্গোলি চান্দেলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল মুম্বইয়ের অন্ধেরির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বৃহস্পতিবার এক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য পোস্ট করার কারণেই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়। আইনজীবী আলি কাশিফ খান দেশমুখের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি আদালতকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত এবং তাঁর বোন রঙ্গোলির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
তাঁর অভিযোগে আইনজীবী দেশমুখ বলেন যে “রঙ্গোলি এবং কঙ্গনা উভয়েরই সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ অনুগামী এবং তাঁরা প্রশংসিত, প্রভাবশালী ও বিখ্যাত ব্যক্তি। তাঁদের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক যোগাযোগের কথা উল্লেখ করার দরকার নেই। অভিযুক্ত উভয়ই একসঙ্গে এখন এবং পরে অযৌক্তিক বিতর্ক তৈরি করেন এবং তার জন্য তাঁ কারোর অজানা নয়। অভিনেতা হৃতিক রোশন, আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে এমনকি শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক সহ বড় বড় মিডিয়া গ্রুপ এবং বলিউড ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেক কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। অভিযুক্তরা এখন পিছিয়ে পড়েছেন এবং ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁরা স্বেচ্ছায় অবৈধ ও অপরাধমূলক কাজ করতে লিপ্ত হয়েছেন। তাঁরা পোস্টের মাধ্যমে দেশে সম্প্রীতির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কুসংস্কারমূলক কাজ করেছে। এটি এক শ্রেণীর ধর্মীয় অনুভূতি অবমাননা করে। এটি অভিপ্রায়মূলক অবজ্ঞাপূর্ণ, অবমাননাকর ও মানহানিকর পোস্ট।”
অন্ধেরি আদালত CrPC-র ২০২ ধারা অনুযায়ী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের রিপোর্ট চেয়েছে। ২২ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। এর আগে বান্দ্রার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুলিশকে দুই বোনের বিরুদ্ধে একই ধরনের পোস্ট দেওয়ার জন্য এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, বান্দ্রা পুলিশ এফআইআরটি নথিভুক্ত করে এবং কঙ্গনা ও রঙ্গোলিকে সমন পাঠায়। তবে, বোনেরা তাদের আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকির মাধ্যমে জবাব দিয়েছিলেন যে তাঁরা হিমাচলে তাদের ভাইয়ের বিয়েতে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারবে না। তাঁরা মুম্বই পুলিশের সামনে হাজির হওয়ার জন্য আরও কিছু সময় চেয়েছেন।