মুম্বাই: COVID-19 এর মহামারী ব্যাপকভাবে আঘাত করেছে দেশে অর্থনীতিকে। এর প্রভাবে বহু মানুষ আজ কর্মহীন। একই অবস্থা বলিউডেও। টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে অভিনেতা অভিনেত্রীরাও আজ বেকার। তাবড় তাবড় শিল্পীরা তবু দিন কাটিয়ে দিতে পারছেন। কিন্তু জুনিয়র আর্টিস্টদের পরিস্থিতি বেশ শোচনীয়। এমনই পরিস্থিতির শিকার হলেন ওড়িশার বলিউড অভিনেতা কার্তিক সাহু। অক্ষয় কুমারের 'সূর্যবংশী'র মতো ছবির অভিনেতা আজ পেটের দায়ে সবজি বিক্রি করছেন।
আরও পড়ুন: এবার বলিউড থেকে ডাক পেলেন হুগলির আদিবাসী কন্যা চাঁদমণি
কার্তিক ওড়িশার কেন্দ্রাপদ জেলার গড়াদপুর ব্লকের বাসিন্দা। তিনি বলেছেন ১৭ বছর বয়সে বলিউডে ভাগ্য পরীক্ষা করতে মুম্বাই গিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে বলিউডই তাঁর ঘর সংসার। বহু বছর ধরে তিনি চলচ্চিত্রের তারকা এবং ক্রিকেটারদের দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করেছেন। তার মধ্যে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন এবং শচীন তেন্ডুলকরের মতো ব্যক্তিত্ব। ২০১৮ সাল থেকে তাঁর ভাগ্য বদলাতে শুরু করে। অনেক সিনেমার অ্যাকশন সিকোয়েন্সে তিনি লক্ষণীয় ভূমিকা পালন করেন। তখনই রোহিত শেট্টি অভিনীত 'সূর্যবংশী' ছবিতে কাজ পান তিনি। অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ছবিতে তাঁর একটি ফাইট সিকোয়েন্স রয়েছে।
আরও পড়ুন- ৯ বছরের শিশুকে ‘বিয়ে’ করে জনপ্রিয় হলেন অভিনেত্রী তেজস্বিনী!
২২ শে মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আটকাতে দেশব্যাপী লকডাউন শুরু হও। তার ঠিক আগে, জয়পুরে অ্যাকশন সিকোয়েন্সের শুটিং শেষ করে ওড়িশায় নিজের বাড়ি ফিরেছিলেন কার্তিক। সেই থেকে তাঁর হাতে কোনও কাজ নেই। সঞ্চিত অর্থেই এতদিন দিন গুজরান করছিলেন কার্তিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু চারমাস কাজ না থাকায় সঞ্চিত অর্থও শেষের পথে। এর মধ্যে তার পরিবারে মেডিকেল ইমার্জেন্সিও হয়ে গিয়েছে। তাঁর সঞ্চয়ের একটি বড় অংশ তাতেও বেরিয়ে গিয়েছে। ফলে এখন হাত তাঁর কার্যত শূন্য। ফলে পেট চালাতে এখন রাস্তায় সবজি বিক্তি করছেন অক্ষয় কুমারের সহ-অভিনেতা।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণী অভিনেত্রী, বাঁচালেন অভিনেতা সুদীপ
কার্তিক জানিয়েছেন, কাজের সন্ধানে তিনি রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরেও গিয়েলেন। কিন্তু কোন ফলই হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে রসুলগড়ে শাকসবজি বিক্রি করতে হয়। তবে নিজের বলিউড কেরিয়ার নিয়ে এখনও আশাবাদী কার্তিক। তিনি জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পরে তিনি আবারও বলিউডে ফিরবেন। ততদিন তিনি বেঁচে থাকার জন্য অন্যদের মতো লড়াই করবেন।