কলকাতা: এ যেন রানি’র রাজ্যপাঠ দখল এবং আলো’র আলোকচ্ছটা৷ জি বাংলার দুই ধারাবাহিক ‘আলো ও ছায়া’ এবং ‘রানি রাসমণি’র মুখ্য চরিত্র এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন৷ দু’জনে অসাধারণ মার্কস নিয়ে পাস করলেন৷ রাসমণি অর্থাৎ দীতিপ্রিয়া ৮২% অন্যদিকে ‘আলো’ অর্থাৎ দেবাদৃতা ৭০% নম্বর নিয়ে পাস করলেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা৷ সারাদিনের ব্যস্ত শ্যুটিং সামলে কীভাবে করলেন এই অসম্ভবকে সম্ভব?
প্রকাশিত হয়েছে এবছরের উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল৷ শুক্রবার সকাল থেকে দু’জনে কিছুটা টেনশনে ভুগছিলেন৷ যেটা সব পরীক্ষার্থীরই হয়ে থাকে ফলাফল প্রকাশের আগে। কিন্তু দীতিপ্রিয়া’র মা-বাবা জানতেন যে তাদের সন্তান ভালো নাম্বার পাবে। বিকালে রেজাল্ট দেখার পর দীতিপ্রিয়া আবেগ-তাড়িত হয়ে পড়েন। এরপর কোন বিষয় নিয়ে তিনি এগোতে চান জানতে চাইলে দীতিপ্রিয়া জানান, তিনি এরপর ইংরাজি অথবা সোশিয়লজি নিয়ে গ্রাজুয়েশনে এগোবেন।
অন্যদিকে, দেবাদৃতা সংবাদমাধ্যমকে জানান তিনি এই মার্কস নিয়ে বেশ খুশি, তার মতে যদিও অনেকেই অনেক ভালো ফল করেছেন, তবুও তিনি যে সব দিক সামলে এতটা নাম্বার পেতে পারেন, তা তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি। শ্যুটিং সেট থেকেই একথা বলেন দেবাদৃতা। অন্যদিকে, মেয়ের ভালো ফলাফলের জন্য দীতিপ্রিয়া’র মা তার সবচেয়ে প্রিয় পদটি নিজের হাতে রেঁধে খাইয়েছেন তাকে। দীতিপ্রিয়া’র ভালো ফলাফলের জন্য তার বন্ধু তথা টালিগঞ্জের অনেকেই তাকে অভিবাদন জানিয়েছেন। দীতিপ্রিয়া সারাদিনের ব্যস্ত শিডিউলের মাঝেও নিজের পড়াশোনা সামলে চলেন এটা তার বড় প্রমাণ।
যদিও, কোভিড-১৯ এর ফলে লকডাউনের জন্য শেষের কয়েকটি পরীক্ষা বাতিল ঘোষণ করা হয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব হাইয়ার সেকেন্ডারি এডুকেশনে’র পক্ষ থেকে। তাই সব পরীক্ষার্থীই বিপদে পড়েছিল, কেউ জানত না আদৌ পরীক্ষা নেওয়া হবে কিনা, অবশেষে পরীক্ষা বাতিলই করা হয়। অনেকের মোট তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয় আবার অনেকের হয়ত দুটো, ঘোষণা করা হয় যদি পরীক্ষার্থীর আশানুরূপ ফল না হলে ভবিষ্যতে আবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবা হবে। কিন্তু সার্বিকভাবে ফলাফল ভালো হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা সকলেই খুশি। গতকাল বোর্ড জানায় মোট ৬.৮০লাখ পরীক্ষার্থী এবছর সফল ভাবে পরীক্ষা দিয়েছিলো, তার মধ্যে ৯০.১৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী সর্বতোভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। এবছরের উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকারীর প্রাপ্ত নাম্বারের শতকরা ফলাফল হল ৯৯.৮০।